মাগুরায় অবৈধ ইটভাটাগুলোতে যেমন টিনের চিমনি ব্যবহার হচ্ছে, তেমনি দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আইনের সবগুলো ধারা উপেক্ষা করে নানাভাবে পরিবেশের ক্ষতি করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চললেও প্রতি বছরই বাড়ছে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যা।
মাগুরা জেলায় অন্তত: ৯০টি ইটভাটা রয়েছে, এর মধ্যে অনুমোদন আছে মাত্র ৬টির। বেশিরভাগ ভাটা অবৈধ; লোকালয়ে, কৃষি জমিতে, বাজার ও সড়কের পাশে ভাটা তৈরির নিষেধাজ্ঞা মানা হয়নি। ভাটায় সিমেন্টে তৈরি ১২০ ফুট চিমনি ব্যবহারের আইন থাকলেও বেশিরভাগেই ব্যবহার হচ্ছে স্বল্প উচ্চতার টিনের চিমনি। সবগুলো ভাটাতেই দেদারসে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বাঁশ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব ভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাইয়ে অ্যাজমাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। কমে গেছে গাছ পালার বাড়-বাড়ন্তি, ফল-ফসলের উৎপাদন।
একদিকে কাঠ-বাঁশ উজাড় হচ্ছে, কেটে নেয়া হচ্ছে জমির উপরিভাগ, অন্যদিকে কালো ধোঁয়ার দূষণ সব দিক দিয়ে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। এসব স্বীকার করছেন ভাটা মালিকরা।
মাঝে-মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হলেও ইট পোড়ানো বন্ধ হচ্ছে না।
সব দিক দিয়ে ক্ষতিকর জেনেও আর্থিক স্বার্থের কারণে অবৈধ ভাটাগুলো বন্ধ হচ্ছে না বলে পরিবেশবাদীরা মনে করছেন।
আরও বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে-