ভারতের ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলে নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের গোপন যাপন, সেখানকার মানুষের জীবনযাপন ও সেখানেই তৈরি হওয়া একটি প্রেমের সম্পর্ক- এই তিনের সমাপতন ঘটিয়ে নির্মিত হয়েছে পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি ‘ইস্কাবন’।
কলকাতায় মনদীপ সাহা’র পরিচালনায় এবং তরুণ সাহিত্যিক রাধামাধব মণ্ডলের গল্পে উত্তাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘ইস্কাবন’ এর ফার্স্টলুক প্রকাশিত হলো সম্প্রতি।
এসএমডি এন্টারটেনমেন্ট এর প্রযোজনায় রাধামাধব মণ্ডলের ‘রেড স্টারের ক্যাম্প’ গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে দেখা যাবে এ প্রজন্মের নতুন টলিউডে পা রাখা নায়ক সঞ্জুকে।
রাধামাধব চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রেডস্টারদের ডেরা, রাজনৈতিক শৃঙ্খল, তাত্ত্বিক আদর্শের-জীবন আর তাদের ঘিরে উত্তাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি সুপ্ত সুন্দর মিষ্টি প্রেম, গোটা ছবিকে ঘিরে আটকে রাখবে দর্শকদের- এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।
জঙ্গলের ডেরাজীবন আর তার সরেজমিন ইতিহাস, হিংস্রতা, খুন আর নানান রাজনৈতিক ফন্দি ফিকিরের মাঝে এক নতুন কাহিনী চিত্রিত গল্পের ছবিটিতে। মূল গল্পের ছায়াকে এখানে অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
ছবির ফার্স্টলুকে দেখতে পাওয়া নায়ক সঞ্জু, নায়িকা মাও নেত্রী অনামিক চক্রবর্তী ছাড়াও মাওনেতা বেসে একেবারে অন্যরকম লুকে দেখা যায় জনপ্রিয় অভিনেতা সৌরভ দাসকে।
লেখক রাধামাধব মনে করেন, রেডস্টারেদের জীবনের আদর্শ বিচ্ছুতির অন্ধকার সময়কে ধরা হয়েছে ছবির ফার্স্টলুকে। জঙ্গলের অনিশ্চিত জীবনে ভোগ, বিলাসিতার জায়গা তৈরি হয়েছিল ক্ষমতার দম্ভ থেকে, তার ছবি স্পষ্ট হয়েছে ছবির লুকে অভিনেতা সৌরভ দাসের চেহারায়। ডেরা জীবন থেকে বেরিয়ে নারী জীবনের লড়াইয়ে মেতে ওঠা প্রেম, যেন ত্রিকোণ হয়েছে সৌরভ, অনামিকা আর সঞ্জুর ছবিতে। মূলগল্পের ভাবে নরেনজি, সত্যরা হেঁটেছে ছবিতে।
‘আবার হইহই করে সক্কলে আমাদের ছবি দেখবে।’ কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে এমনটাই আশা করেন ছবির প্রযোজক এসএমডি-র কর্ণধার সেখ আব্দুল লালন। পরিচালক মন্দীপ সাহাকে সঙ্গে নিয়েই, প্রথম ছবির লুক প্রকাশের পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন ছবির এই প্রযোজক সেখ আব্দুল লালন। এসএমডি- র প্রথম বাংলা ছবি ‘ইস্কাবন’।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের চিরুগড়া, কাঁকড়াঝোড়, ঢাঙ্গিকুসুম, তারাফণি ব্যারেজ, ঘাগড়া, খাদারাণী, লালজল, আমলাশোলের পাশাপাশি বোলপুর ও কলকাতায় শুটিং হয়েছে ছবির।
ছবিতে নায়িকা গোলাপির ভূমিকায় অভিনয় করছেন অনামিক চক্রবর্তী। ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন সুমিত গাঙ্গুলী, অভিনেতা খরাজ মুখার্জী, অরিন্দম গাঙ্গুলী, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, শ্যামল রায়চৌধুরীরা। একটি বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন প্রবীণ অভিনেতা দুলাল লাহিড়ী।
এছাড়াও ছবিতে নেপথ্য সংগীতে রয়েছেন নচিকেতা চক্রবর্তী, অন্নেষা দাশগুপ্ত, রূপঙ্কর বাগচি এবং শান। ছবির সংগীত পরিচালক অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়। ছবির বিজিএম করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।