আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিলো। এ বছরের মধ্যেই যে গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ হবে তা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে তারা মনে করছেন।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘এই হামলা বিএনপি-জামায়াত জোটের নির্দেশেই হয়েছিলো। তারা আরেকটি ১৫ আগষ্টের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চেয়েছিলো। কোনো রাজনৈতিক সরকারের সময় একটি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে সমরাস্ত্র ব্যবহারের ঘটনা এটাই প্রথম।’
কেনো এরকম অপচেষ্টা? প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন: আসলে বিএনপি-জামায়াত জোটের একমাত্র দর্শন হত্যা-খুন। তারা এর আগে যেমন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলো, ঠিক তেমনই সেদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে হত্যা করে আরো ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করার জন্য এমন নৃশংস হত্যার মিশন চালিয়েছিলো।
‘ভাগ্য অনেক ভালো ছিলো বলে আমরা আমাদের নেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সেদিন বাঁচাতে পেরেছিলাম।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও সেদিন সেখানে ছিলেন।
শেখ হাসিনাসহ তাদের বেঁচে যাওয়া ‘অলৌকিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নেতাকর্মীরা ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি। কিন্ত ওইদিন আমরা মানববর্ম তৈরি করে প্রিয় নেত্রীর জীবন রক্ষা করেছি।’
‘তারপরও আইভি রহমানসহ ২৪ নেতা-কর্মীকে হারাতে হয়েছে অামাদের। শত শত মানুষ আহত হয়েছিলেন। অনেকে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন। অনেকে এখনও চরম কষ্টের জীবন পার করছেন।’
বিচারের অগ্রগতি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এ বর্ষিয়ান নেতা বলেন: আমার ব্যক্তিগত কার্যতালিকায় এ মামলাটি সব সময় এক নম্বরে থাকে। আদালতেও উপযুক্ত বিচার হচ্ছে। আমরা আশা করছি চলতি বছরই মামলার কার্যক্রম শেষ হবে। এই বিচার গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে।
সেদিন যে নিবেদিতপ্রাণ নেতা-কর্মীদের হারিয়েছেন, তাদের কথা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, খুব মিস করি আদা চাচাকে। আমাদের প্রতিটা প্রোগ্রামে ছাতা মাথায় হাজির হতেন। দল থেকে কখনো কিছু নেননি, তবু দলের সাথে ছায়ার মতো লেগে থাকতেন। এমন নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মী অন্য কোনো দলে নেই। তাই ২১ আগস্ট আমাদের কাছে বিভীষিকা হয়ে আসলেও আগের চেয়ে আরো শক্তিশালী আওয়ামী লীগ।