অাওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক । মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিহতদের মধ্যে নয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন সুবীর দাস, দীপংকর রাহুল দাস, আশিস বড়ুয়া, রীবন দাস, উজ্জ্বল চৌধুরী, প্রদীপ তালুকদার, ঝন্টু দাস, কৃষ্ণপদ দাস ও লিটন দেব।
সোমবার চট্টগ্রামের আসকার দীঘিতে রিমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে কুলখানি উপলক্ষে মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য মেজবানের আয়োজন করা হয়েছিল।
তবে আয়োজনের ব্যবস্থাপনায় থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কুলখানির মেজবানে এই কমিউনিটি সেন্টারটি মুসলিম ব্যাতিত অন্যান্য ধর্মের লোকজনের নির্ধারিত ছিলো। এটা না জেনে অনেক মুসলিমও এখানে ভিড় করেন। অতিরিক্ত ভিড়ে কার আগে কে ঢুকবে এরকম হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় এবং মাত্র কয়েক মিনিটে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানিয়েছেন, ওই আয়োজনে নিরাপত্তার কমতি ছিল না। অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে আহতদের দেখতে এসে সিএমপি কমিশনার বলেন,’কমিউনিটি সেন্টারটির গেট দিয়ে ঢোকার পথটি ১০ ফুট ঢালু হওয়ায় পেছনের ভিড়ের চাপে সামনের লোকজন পড়ে যাওয়ায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শৃঙ্খলার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকরা ছিলো। কিন্তু মেজবানে আসা লোকজন ধৈর্য হারা হয়ে ঢোকার সময় অতিরিক্ত তাড়াহুড়া করায় এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের পরিবার প্রতি ১ লাখ টাকা সহায়তা দেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা এবং নিহতদের শেষকৃত্যের খরচ দেবে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার।
গত ১৪ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে বন্দর নগরীর মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিমন্ত্রী মীর নাসিরকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র নির্বাচিত হন। পাশাপাশি প্রতিপক্ষের তুলনায় ভোটের ব্যবধানও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়।