এমনিতেই প্রাণঘাতি ভাইরাস হতে রক্ষায় গোটা বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশও এর বাহিরে নয় তাইতো সরকার সর্বোচ্চ সাবধানতার অংশ হিসেবে কার্যত সমস্ত বাংলাদেশ লকডাউন করে রেখেছে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা শিল্প ছাড়া ধরা চলে সবই বন্ধ।
এ কারণে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাতের আবস্থাও অনেকটা জড়োসড়ো। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ২৬টি জেলায় আঘাত হানলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফান যার প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় ১১ শত কোটি টাকা তবে প্রকৃত ক্ষতি হয়তো আরোও অনেক বেশী । এমন অবস্থায় এবারের ঈদ কেমন যাবে তাই তুলে ধরা হলো-ঈদ মানে আনন্দ বা খুশি- আপনি কি বলতে পারেন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের ঈদের প্রকৃত এ অর্থ কি সার্থক হবে? যদিও সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। করোনার কারণে এমনিতেই কাজ না থাকায় কোন না কোন ভাবে সকলের আয়ের ওপর বড় একটা চাপ পরেছে আবার যারা কিছুটা বৃত্তবান তাদের থাকতে হচ্ছে বিপদগ্রস্ত প্রতিবেশীদের সাথে তরাপরে ঠিক ঈদের আগে ঘটে গেল মহাপ্রলংকারী সাইক্লোন যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বাঁধ ভেংগে অনেক গ্রামে প্রবেশ করেছে সাগরের লোনা পানি, নষ্ট হয়েছে চিংড়ির ঘের, ফসল, বসত বাড়ি, অনেক অর্থকারি ফল ও ফসল- আম, লিচু, কলা, ধান ইত্যাদি। এমন অবস্থায় যে কৃষকের আশা ছিলো হয়তে আম বা লিচু বা অন্য ফল বা ফসল বিক্রি করে কিছুদিন পরে একটা বড় অংকের অর্থ ঘরে তুলতে পারবে যা দিয়ে করোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে কিন্তু হলো এর উল্টোটা আয়ের পরিবর্তে তাকে এখন ব্যায় করতে হবে তার নষ্ট্য হয়ে যাওয়া ঘর মেরামত করার জন্য বা তার বাচ্চার বই কিনতে বা নতুন করে কৃষি কাজ শুরুকরনের জন্য বীজ বা সার কিনতে, এমন অবস্থায় তারা কি করবে তা অনেকটা দিশেহারা। বিশেষকরে যাদের ঘর নষ্ট বা ভেংগে গিয়েছে তা মেরামত করা এখন খুবই জরুরি হয়ে পরেছে, কারন এখন বর্ষাকাল প্রায়সই বৃষ্টি হচ্ছে, ঘর সারতে না পারলে তাদের ইজ্জত নিয়ে বেচে থাকাটাই অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে পরবে , চ্যালেঞ্জ হয়ে পরবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরাক্ষা কারণ টয়লেট কাচা হওয়া অধিকাংশই নষ্ট হয়েছে, নষ্ট হয়েছে টিউওয়েল বা কুয়া বা সুপেয় পানির উৎস্য, যদিও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এখন হতেই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। তথাপিও তাদের জন্য আমাদের যা করা প্রয়োজন তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরার চেষ্টা।
জোয়ারের পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য যে এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামতের কাজ দ্রুততার সাথে করতে হবে একই সাথে এ কাজে শ্রমিক হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
· যাদের ঘর নষ্ট হয়েছে তা মেরামতের ব্যবস্থা করতে প্রকৃত তালিকা প্রনয়ণ করে যতদ্রুত সম্ভব তাদের মোবাইলে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
· আম ও লিচুর বাগান মালিকদের তালিকা কৃষি বিভাগ কর্তৃক দ্রুততার সথে করে তাদের জন্য আগামীতে কম সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
· মৎস্য বিভাগ কর্তৃক চিংড়ি ঘের মালিকদের তালিকা করে তাদেরকেও অনুরুপ অর্থায়ন করতে হবে।
· করোনার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যরক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গুরুত্ব দিতে হবে না হলে জনস্বাস্থ্যে জন্য হুমকি হয় অনুরুপ আরোও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
· সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সকল ছুটি বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দারাতে হবে।
করোনাকালীন সময়ে আমারা সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়িদের, ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের , বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে দেখেছি সহযোগিতার হাত বাড়াতে কিন্তু দু:খের বিষয় – এ সময়ে আমরা কিন্তু দাতা সংস্থার তেমন কোন সাড়া দেখতে পায়নি এমনকি আর্ন্তজাতিক এনজিও এ বিষয়ে ছিলো নিরব, আশা করবো তারা এ দুযোর্গের সময় সরকারের পাশাপাশি সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
সর্বোপরি, ঈদ-উল- ফিতর হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত কারো জন্য মোটেও ভালো যাবে না তাথাপিও ঈদ- উল-আযহাতে যেন সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও আনন্দ করতে পারে তার জন্য কমর্সংস্থানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ কতে হবে এবং এ বিষয়ে সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে স্থানীয় সরকার, খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, পানি সম্পদ, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে এবং এ সকল প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি মনিটরিং এর জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করতে পারে।
এমনিতেই প্রানঘাতি ভাইরাসের হতে রক্ষায় গোটা বিশ্ব হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশও এর বাহিরে নয় তাইতো সরকার সর্বোচ্চ সাবধানতার অংশ হিসেবে কার্যত সমস্ত বাংলাদেশ লকডাউন করে রেখেছে শুধুমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বা শিল্প ছাড়া ধরা চলে সবই বন্ধ । এ কারণে অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাতের আবস্থাও অনেকটা জড়োসড়ো। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় ২৬টি জেলায় আঘাত হানলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্ফান যার প্রাথমিক ক্ষতি প্রায় ১১ শত কোটি টাকা তবে প্রকৃত ক্ষতি হয়তো আরোও অনেক বেশী । এমন অবস্থায় এবারের ঈদ কেমন যাবে তাই তুলে ধরা হলো-
ঈদ মানে আনন্দ বা খুশি- আপনি কি বলতে পারেন সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের ঈদের প্রকৃত এ অর্থ কি সার্থক হবে? যদিও সরকার সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। করোনার কারণে এমনিতেই কাজ না থাকায় কোন না কোন ভাবে সকলের আয়ের ওপর বড় একটা চাপ পরেছে আবার যারা কিছুটা বৃত্তবান তাদের থাকতে হচ্ছে বিপদগ্রস্ত প্রতিবেশীদের সাথে তরাপরে ঠিক ঈদের আগে ঘটে গেল মহাপ্রলংকারী সাইক্লোন যার কারণে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বাঁধ ভেংগে অনেক গ্রামে প্রবেশ করেছে সাগরের লোনা পানি, নষ্ট হয়েছে চিংড়ির ঘের, ফসল, বসত বাড়ি, অনেক অর্থকারি ফল ও ফসল- আম, লিচু, কলা, ধান ইত্যাদি। এমন অবস্থায় যে কৃষকের আশা ছিলো হয়তে আম বা লিচু বা অন্য ফল বা ফসল বিক্রি করে কিছুদিন পরে একটা বড় অংকের অর্থ ঘরে তুলতে পারবে যা দিয়ে করোনার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবে কিন্তু হলো এর উল্টোটা আয়ের পরিবর্তে তাকে এখন ব্যায় করতে হবে তার নষ্ট্য হয়ে যাওয়া ঘর মেরামত করার জন্য বা তার বাচ্চার বই কিনতে বা নতুন করে কৃষি কাজ শুরুকরনের জন্য বীজ বা সার কিনতে, এমন অবস্থায় তারা কি করবে তা অনেকটা দিশেহারা। বিশেষকরে যাদের ঘর নষ্ট বা ভেংগে গিয়েছে তা মেরামত করা এখন খুবই জরুরি হয়ে পরেছে, কারন এখন বর্ষাকাল প্রায়সই বৃষ্টি হচ্ছে, ঘর সারতে না পারলে তাদের ইজ্জত নিয়ে বেচে থাকাটাই অনেকটা চ্যালেঞ্জ হয়ে পরবে , চ্যালেঞ্জ হয়ে পরবে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরাক্ষা কারণ টয়লেট কাচা হওয়া অধিকাংশই নষ্ট হয়েছে, নষ্ট হয়েছে টিউওয়েল বা কুয়া বা সুপেয় পানির উৎস্য, যদিও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এখন হতেই ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। তথাপিও তাদের জন্য আমাদের যা করা প্রয়োজন তা নির্দিষ্টভাবে তুলে ধরা চেষ্টা –
· জোয়ারের পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য যে এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামতের কাজ দ্রততার সাথে করতে হবে একই সাথে এ কাজে শ্রমিক হিসাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
· যাদের ঘর নষ্ট হয়েছে তা মেরামতের ব্যবস্থা করতে প্রকৃত তালিকা প্রনয়ণ করে যতদ্রুত সম্ভব তাদের মোবাইলে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
· আম ও লিচুর বাগান মালিকদের তালিকা কৃষি বিভাগ কর্তৃক দ্রুততার সথে করে তাদের জন্য আগামীতে কম সুদে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
· মৎস্য বিভাগ কর্তৃক চিংড়ি ঘের মালিকদের তালিকা করে তাদেরকেও অনুরুপ অর্থায়ন করতে হবে।
· করোনার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যরক্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গুরুত্ব দিতে হবে না হলে জনস্বাস্থ্যে জন্য হুমকি হয় অনুরুপ আরোও অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
· সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সকল ছুটি বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দারাতে হবে।
করোনাকালীন সময়ে আমারা সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়িদের, ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের , বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকে দেখেছি সহযোগিতার হাত বাড়াতে কিন্তু দু:খের বিষয় – এ সময়ে আমরা কিন্তু দাতা সংস্থার তেমন কোন সাড়া দেখতে পায়নি এমনকি আর্ন্তজাতিক এনজিও এ বিষয়ে ছিলো নিরব, আশা করবো তারা এ দুযোর্গের সময় সরকারের পাশাপাশি সাধ্যমত ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করবে।
সর্বোপরি, ঈদ-উল- ফিতর হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত কারো জন্য মোটেও ভালো যাবে না তাথাপিও ঈদ- উল-আযহাতে যেন সাধারন মানুষ কিছুটা হলেও আনন্দ করতে পারে তার জন্য কমর্সংস্থানের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্প গ্রহণ কতে হবে এবং এ বিষয়ে সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে স্থানীয় সরকার, খাদ্য, কৃষি, স্বাস্থ্য, পানি সম্পদ, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হবে এবং এ সকল প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সরাসরি মনিটরিং এর জন্য বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করতে পারে।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)