নারায়ণগঞ্জে শহরের তল্লা মসজিদে বিস্ফোরণ গ্যাসের লিকেজ থেকে দুর্ঘটনা হয়েছে কি না এবং মসজিদের নীচ দিয়ে কোন পাইপ আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দিনের মতো মাটি খনন করছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত অন্য দশজনের মধ্যে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অপর নয়জন এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাদের প্রত্যেকের অবস্থাই আশংকা জনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় যে পাঁচটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তাদের মধ্যে এ ঘটনার সাথে প্রাথমিকভাবে যারা জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়েছে, তাদের সকলকে পুলিশের নজরদারীতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।
গ্যাসের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছে কিনা, মসজিদের নীচ দিয়ে কোনো পাইপ আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মাটি খননের কাজ করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্টিবিশস কোম্পানির লোকজন। দ্বিতীয় দিনের মতো খননের কাজ সকাল থেকে শুরু করেছে।
এদিকে মসজিদের বিস্ফোরণে আহত মামুন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় আহত যারা এখনো বার্ন ইউনিটে আছেন তাদের সকলকে সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
জানা যায়, ১৯৯৫ সালের দিকে এখানে টিনের একটি মসজিদ ছিল। ২০০০ সালের দিকে যখন ভবন নির্মাণ শুরু হয় তখন এর তদারকিতে ছিলেন জিয়াউল হক। তিনি বলছেন, এক ইঞ্চির গ্যাস লাইনের পরিবর্তে যখন তিন ইঞ্চির লাইন বসানো হয় তখন এক ইঞ্চির একটি লাইন মূল ভবনের নিচে ছিল।
তিতাস গ্যাস বলছে, গ্যাসের লিকেজ সম্পর্কে মসজিদ কমিটির কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি।