অন্য যেকোনো প্রাণীর থেকে মশার হাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে প্রতিবছর। এমন তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। প্রতি বছর মশার হাতেই মৃত্যুবরণ করে এক মিলিয়ন মানুষ। আর কয়েকশ মিলিয়ন মানুষ মশার কামড়ে অসুস্থ হয়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর এবং চিকুনগুনিয়া, এসবই মশাবাহিত রোগ।
তবে মশাকে নির্মূল করার পরিকল্পনা হিসেবে আরো বেশি বেশি মশার প্রজননের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর সেটাই করছে গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট।
অ্যালফাবেটের পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০১৭ সালে একটি প্রজেক্ট শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেশনোতে মশা নিধনের। ডিবাগ প্রজেক্টটিতে মশা তৈরি করা হতো ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ল্যাবে। এসব পুরুষ মশার শরীরে উলবাচিয়া নামে একটি ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করা থাকতো, ফলে স্ত্রী মশাগুলো প্রজনন ক্ষমতা হারাতো। আক্রান্ত মশাগুলোকে স্ত্রী মশাদের এলাকায় ছেড়ে দেয়া হতো। আর উদ্দেশ্য ছিলো ধীরে ধীরে মশাগুলোর প্রজনন নষ্ট করা যেন পরবর্তী প্রজন্ম আর তৈরি হতে না পারে।
সেই গবেষণা কতটা সফল ছিলো? ছয় মাসের কোর্সে ডিবাগ ১৫ মিলিয়নেরও বেশি আক্রান্ত মশা ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেশনোতে সরবরাহ করে। ফলে স্ত্রী মশার সংখ্যা কমে আসে দুই তৃতীয়াংশ। তারা মশাদের ৯৫ শতাংশ ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।
ডিবাগ তাদের ওয়েবসাইটে লিথেছে, ডিবাগের শুরুটা খুবই ভালো। তবে আরো অনেক কাজ বাকি আছে। আমরা আরো কিছু সম্প্রদায়কে খুঁজছি যারা ভালো ডিবাগ ছেড়ে দিয়ে মশাদের জনসংখ্যা এবং রোগের উপর প্রভাব আনা যাবে। আমরা লাখ লাখ মানুষকে দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন ধারনে সহায়তা করতে চাই।