প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে সহজ সরল মানুষদের ঢাকায় এনে কিডনি নিয়ে নিচ্ছে কয়েকটি চক্র। এরকম একটি চক্রের দলনেতা আব্দুল জলিলসহ তার ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। কর্মকর্তারা জানান, কিডনি হাতিয়ে নেয়ার সময় কারও মৃত্যু ঘটলে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
জয়পুরহাট থেকে যুবক আবু হাসানকে সিএনজি কিনে দেয়ার লোভ দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় চক্রের দলনেতা আব্দুল জলিল। গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে জলিলের ৪ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় আরেক যুবক মাহাবুবুর রহমান শান্তকে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে শান্তুর একটি কিডনি বিক্রি চূড়ান্ত করেছিলো চক্রটি। ডিবি’র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, রক্ত দেওয়ার কথা বলে শান্তকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। জলিল ও তার সহযোগীরা ঠিক করেছিলো, কিডনি নেওয়ার পর শান্ত অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে মেরে ফেলা হবে।
শুধু ঢাকায় নয়, এই চক্রের সদস্যরা গরীব লোকদের ধরে পার্শ্ববর্তী দেশে নিয়েও কিডনি বিক্রি করে দিচ্ছে। জলিল প্রদীপ সাহা নামে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিজে ভারতে গিয়ে কিডনি বিক্রি করেছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে কিডনি বিক্রির আরো ৪টি ঘটনার কথা স্বীকার করেছে আব্দুর জলিল।
রাজধানীকেন্দ্রিক কয়েকটি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক কিডনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিগগিরই অভিযান চালাবে পুলিশ।