মাঠে হোসে মরিনহো থাকবেন আর সেখানে উত্তেজনা ছড়াবে না এমন কী হয় নাকি? রোববারের ম্যানচেস্টার ডার্বির মতো উত্তাপ ছড়ানোর ম্যাচে নিরুত্তাপ থাকাটা দেখে মনে হচ্ছিল নিজেকে শুধরে নিয়েছেন পর্তুগিজ কোচ। ভুল! মরিনহো শান্ত থাকতে চাইলেও অশান্ত তাকে হতেই হয়েছে। খেলা শেষে টানেল দিয়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় ‘স্পেশাল ওয়ানে’র মুখে কে বা কারা দুধ আর পানি মেরেছে! তাই নিয়ে হয়েছে লকাকাণ্ড।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানসিটির কাছে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২-১ গোলে হারার পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যাচ্ছিলেন মরিনহো। তখনই এই ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বলছে, হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। তাতে আহত হয়েছেন ম্যানসিটির সহকারী কোচ মিকেল আরটেটা। মুখে ঘুষির চিহ্ন নিয়ে ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়েছেন তিনি!
ওল্ড ট্রাফোর্ডে এমন কাণ্ড অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০০৪ সালে রেডডেভিলদের কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের মুখে পিজ্জা ছুঁড়েছিলেন আর্সেনাল মিডফিল্ডার ফ্যাব্রিগাস।
মাঠে চুপচাপ দেখালেও সময় সময় ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনের সঙ্গে পর্তুগিজ ভাষায় খিস্তি কাটছিলেন মরিনহো। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল, সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে একটি কথাও বলেননি স্পেশাল ওয়ান। ম্যাচে নিজের জায়গা ছেড়ে প্রতিপক্ষ কোচ গার্দিওলার সঙ্গে কী কথা বলেছেন এমন প্রশ্নে তার কাঠখোট্টা জবাব, ‘আপনারা নিশ্চয়ই আমাকে তার সঙ্গে রাজনৈতিক আলাপ করতে দেবেন না!’