দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিলের ওপর পুনঃশুনানি শেষ হয়েছে। এবিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
২৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক নূরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি করেন।
২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে জরিমানাও করেন আদালত ।
এর বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর মায়ার ১৩ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করে হাইকোর্ট মায়াকে খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। সে আবেদনের পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন হাইকোর্টের খালাসের রায় বাতিল করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে আপিল বিভাগের এ আদেশ পুনর্বিবেচনারে আবেদন করেন মায়া। সে আবেদনটি খারিজ করে দিলে আপিল বিভাগে আদেশ অনুযায়ী হাইকোর্টে পুনরায় শুনানি হয়। মঙ্গলবার সেই শুনানি শেষে হলে আগামী ৭ অক্টোবর বিষয়টি রায়ের জন্য রেখেছে হাইকোর্ট।