বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ও প্রযোজক বিনোদ খান্না আজ বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এ চিরবিদায় মেনে নিতে পারছেন না তার সহকর্মীরা। ছুটে গেছেন তাকে শেষবারের মত দেখতে। অনেকেই ফেসবুক ও টুইটারসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তার চলে যাওয়ায় বেদনার কথা তুলে ধরছেন। ব্যথিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের তারকারাও। তার অভিনয় যারা দেখেছেন কিংবা তার সঙ্গে যাদের সাক্ষাৎ হয়েছে, তারাও মেনে নিতে পারছেন না এই মৃত্যু। চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে এই অনুভুতির কথা জানিয়েছেন।
সৈয়দ হাসান ইমাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
অভিনয় করা যে কঠিন কিছু নয়, সেটি বিনোদ খান্নাকে দেখলে বোঝা যায়। চলচ্চিত্রে তার স্বাবলীল অভিনয়ে আমি দারুণ প্রভাবিত ছিলাম। ১৯৭৭ কিংবা ১৯৭৮ সাল হতে পারে সময়টা। এ সময় মুম্বাইয়ের সিনেমা হলে তার দুটি ছবি দেখেছি। ছবি দুটি হচ্ছে ‘মুকাদ্দার কা সিকান্দার’ ও ‘ইনকার’। আগে পরে তার আরও অনেক ছবি দেখেছি। তবে হলে বসে সে দুটি সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা, সেটা আজও মনে পড়লে রোমাঞ্চিত হই। অভিনয়ে এমন স্বাবলীল মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি। আজ তার চলে যাওয়াতে মনে হলো যেন নক্ষত্র ঝড়ে গেল।
নায়করাজ রাজ্জাক, অভিনেতা
বিনোদ খান্নার মৃত্যু সংবাদ শুনেছি। আর তারপর থেকেই মনটা খারাপ হয়ে আছে। কী অভিনয়টাই না করতেন তিনি। আমি কিন্তু তাকে কাছ থেকে দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কথা হয় মুম্বাইতে। সেটা আশির দশকে হবে। আমাকে তিনি সম্মান দিয়েছেন তখন, সেটা আজীবন মনে থাকবে। সেদিন কথা বলার সময় মনেই হয়নি তিনি ইন্ডাষ্ট্রির এতবড় এক নায়ক। দু দেশের ফিল্ম নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। তার মৃত্যু সংবাদটা তাই আমার কাছে স্বাভাবিক না।
সোহেল রানা, অভিনেতা
বিনোদ খান্না ভারতের শক্তিমান অভিনেতা ছিলেন। স্বাবলীল অভিনয়ের জন্য তাকে আমার খুব ভালো লাগতো। তার অভিনীত বেশিরভাড়গ ছবিই দেখেছি। আর ভেবেছি এমন ভালো করে অভিনয়টা কে করতে পারে। আমার খুব খারাপ লাগছে তার মৃত্যুর সংবাদটা পেয়ে।
আলমগীর, চিত্রনায়ক
আমি কিন্তু বিনোদ খান্নার অভিনয়ে আকৃষ্ট ছিলাম। তার কোনো ছবিই আমি বাদ দেইনি। শুনলে হাসবেন কোনো কোনো সময়ে আমি তাকে অনুসরণও করেছি। আজ যখন তার মৃত্যু সংবাদ শুনলাম তখন মনে হলো যেন বুকে কেউ পাথর বসিয়ে দিয়েছে। আজ অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। কিন্তু কোনো কাজে মন বসছে না।
ছবি : সংগৃহীত