মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা এবং ইরাক যুদ্ধের কথা মাথায় রেখেই হোয়াইট হাউজ এই পরিকল্পনা করছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন বলে নিউইয়র্ক টাইমসের বরাতে ডেইলি মেইল জানিয়েছে।
এই বৈঠকে অনেক পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল এক লাখ ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনের বিষয়টি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সপ্তাহ বা মাসও লেগে যেতে পারে। এবং এটি আকারে হতে পারে ২০০৩ সালে যেভাবে ইরাকে আক্রমণ করা হয়েছিল।
তবে এই পরিকল্পনাকে এখনই ইরানের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণের সম্ভাবনা বলা যাচ্ছে না। স্থল হামলার জন্য আরও সৈন্য লাগবে বলে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়।
বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইরানকে সতর্ক করে বলেন, ইরান যদি মার্কিন স্বার্থকে লক্ষ্যবস্তু করে তাহলে তাদের ‘কড়া মূল্য’ দিতে হবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দেখবো ইরানে কী হচ্ছে, যদি তারা কোনকিছু করে তাহলে সেটি হবে বড় ভুল।
ট্রাম্প চান, তেহরান তাদের অস্ত্রের লাগাম টেনে ধরুক। এ লক্ষ্য নিয়েই সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র গালফ অঞ্চলে বি-৫২ বোমারু বিমান পাঠিয়েছে।
তবে ইরান এসব পদক্ষেপকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে। ইরান জানিয়েছে, তারা কখনই তাদের তেল রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টি করতে দিবে না।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি রোধে ২০১৫ সালে করা এক আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে ট্রাম্প বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে থাকে। একই সঙ্গে ট্রাম্প ইরানের ওপর একর পর এক নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করতে থাকেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, ইরান বা তাদের মিত্রদের ছোড়া বিস্ফোরকে গত রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে বন্দরে চারটি জাহাজে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
ওই বিস্ফোরণে সৌদি আরবের দুটি তেলের ট্যাংকার, নরওয়ের পতাকাবাহী জাহাজ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহর ট্যাংকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।