দেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার ২১তম দিনে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৮০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬৮ হাজার ৫৩৯ জন ও নারী ৪৬ হাজার ১৪১ জন ভ্যাকসিন নেন।
এ নিয়ে আজকে পর্যন্ত সারা দেশে ৩৩ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৫ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২১ লাখ ৫০ হাজার ৩৫৫ জন ও নারী ১১ লাখ ৯১ হাজার ১৫০ জন।
পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ৮২০ জন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, ঢাকা মহানগরীতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ২৪ হাজার ৫২২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৬২৪ জন ও নারী আট হাজার ৮৯৮ জন ভ্যাকসিন নেন।
ঢাকা বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৪২ হাজার ৫৯৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২৬ হাজার ৪৬৮ জন ও নারী ১৬ হাজার ১২৫ জন ভ্যাকসিন নেন। এছাড়াও ময়মনসিংহ বিভাগে তিন হাজার ৮৭০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ২১৯ ও নারী এক হাজার ৬৫১ জন।
চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ হাজার ৪৭০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৮৮৭ জন ও নারী আট হাজার ৫৮৩ জন ভ্যাকসিন নেন।
রাজশাহী বিভাগে ১০ হাজার ৮৪৮ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৩১৯ জন ও নারী চার হাজার ৫২৯ জন।
রংপুর বিভাগে ১০ হাজার ৩৫৪ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার জন ও নারী চার হাজার ৩৫৪ জন। খুলনা বিভাগে ১৬ হাজার ৫৭০ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ নয় হাজার ৩৭০ ও নারী সাত হাজার ২০০ জন।
বরিশাল বিভাগে চার হাজার ৩০৬ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৫৭৫ জন ও নারী এক হাজার ৭৩১ জন এবং সিলেট বিভাগে চার হাজার ৬৯৯ জন ভ্যাকসিন নেন; যার মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৭০১ জন ও নারী এক হাজার ৯৬৮।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেসময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।