মসজিদ আল হারামের ক্রেন ভেঙ্গে পড়ার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সৌদি সরকার। দেশটি এখনো নিহতদের পরিচয় প্রকাশ না করায় ডাটাবেস ধরে বাড়ি এবং হোটেলে গিয়ে বাংলাদেশী হাজীদের তথ্য সংগ্রহ করছে হজ মিশন, বাংলাদেশ দূতাবাস এবং হাব। তবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান আশ্বস্ত করেছেন, বাংলাদেশী হাজীরা সুস্থ আছেন।
শুক্রবার রাতে পবিত্র কাবা শরীফের মসজিদ আল হারামের সংস্কারের কাজে থাকা ক্রেন পড়ে নিহত হন বিভিন্ন দেশের ১০৭ জন। আহতের সংখ্যা ২৩৮। সৌদি আরব নিহতদের তালিকা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। ক্রেন ভেঙ্গে পড়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ, তবে বলা হয়েছে ঝড়ের সময় ক্রেনের সঙ্গে গাছও ভেঙ্গে পড়েছে। সৌদি আরবের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির ডিজি জেনারেল সোলায়মান আল আমীর গাছ ভেঙ্গে পড়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
উদ্ধার কাজে নিয়োজিতরা জানিয়েছেন, নিহত বেশিরভাগের চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে কোনো বাংলাদেশীর নিহত হওয়ার খোঁজ পাওয়া যায়নি। আহত হয়েছেন ৪০ বাংলাদেশী।
ঘটনার পর পর ঢাকা থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। সকালে তার সরকারি বাসভবনে হাব নেতাদের নিয়ে সৌদী আরবে অবস্থান করা বাংলাদেশী হাজিদের সঠিক তথ্য বের করতে জরুরি বৈঠক করেন ধর্মমন্ত্রী ।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের কেউ নিহত হয় নাই। আহত হয়েছে সামান্য। ছয় সাতজনকে আমরা আমাদের এ্যাম্বেসির লোকের মাধ্যমে খোজ খবর করে তাদের হাসপাতালে নিয়েছি, চিকিৎসা করিয়েছি। তাদের কোন মৃতের শঙ্কা নেই।
প্রাথমিক খোঁজ খবরের পর এখন বাড়ি এবং হোটেলে হোটেলে বাংলাদেশী হাজিদের খোঁজ নেয়া হচ্ছে। ধর্মমন্ত্রী বলেন, হাজী সাবদের যারা দায়িত্ব প্রাপ্ত আছেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। এই দেশে হাজীদের যারা আত্মীয় স্বজন আছেন তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে অভয়বাণী দিচ্ছি। তারা কেউ গুরুতর আহত না।
মক্কার হাসপাতাল গুলোতে আহতদের দেখে বাংলাদেশী শনাক্তসহ বিভিন্ন কাজ করছে হাবের ১০ সদস্যের একটি টিম। হাব এর মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ বলেন, মন্ত্রী মহোদয় এবং আমরা প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় মনিটরিং করছি। আমাদের বাংলাদেশী হাজীদের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা। হাবের পক্ষ থেকে ওখানে টিম আছে।
এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৩শ জন বাংলাদেশী হজ করতে সৌদী আরব পৌঁছেছেন।