সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মইনুল হোসেনের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও মাসুদ রানা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।
গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে একাত্তর টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘একাত্তর জার্নাল’-এ রাজনৈতিক সংবাদের বিশ্লেষণে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির করা এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই।’
ওই ঘটনায় রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় গত ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ৩ নভেম্বর মইনুল হোসেনকে ঢাকা থেকে রংপুর কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ৪ নভেম্বর এ মামলায় মইনুল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
এদিকে টকশোতে দেয়া ওই বক্তব্যের ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মানহানির এবং ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা। এর মধ্যে কয়াকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন মইনুল।