পায়ে গুলি করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মাহবুবুর রহমান গামাকে ভয় দেখাতে সন্ত্রাসী কায়দায় তিন অস্ত্রধারীকে পাঠিয়েছিলো গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক মিলন। কিন্তু অসাবধানতায় এলোপাতাড়ি গুলিতে তিন খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে গ্রেফতার দুই ছাত্রলীগ নেতা।
বাড্ডা থানা পুলিশের কাছ থেকে ট্রিপল মার্ডার মামলার নথিপত্র পাবার পর পরই গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আটক করে গুলশান থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফারুক মিলন ও বাড্ডা থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদকে।
গত শুক্রবার বাড্ডায় গামাসহ তিনজনকে হত্যা ঘটনায় গ্রেফতার ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে রিমান্ডে এনে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানার চেষ্টা করছে ডিবি।
ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি জুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই মূলত এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক কোনো কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়নি। এটা একেবারেই ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
হত্যাকাণ্ডের সময় সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও ফারুকের নির্দেশনায় ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলেও নিশ্চিত হয়েছে ডিবি।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ফারুক ওই স্থানে ছিলো না, কিন্তু তার পূর্বাপর যোগাযোগের খোঁজ মিলেছে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে সে তথ্য মিলেছে। নূর মোহাম্মদ সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছে, সেকথাও সে স্বীকার করেছে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন কিলিং মিশনে সশস্ত্র তিন যুবক ছাড়া আরও ৫ জন এসেছিলো। এর বাইরে থাকা আরও তিন নেপথ্যের কুশীলবকে খুঁজছে গোয়েন্দারা।