ভয়াল ২৫ মার্চ কালরাত্রিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে
স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে কালরাত্রিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
নিবেদন করেছে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ
শেষ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধে
নেতৃত্ব দেওয়া সেক্টর কমান্ডারদের সংগঠনটি।
রাত ১২টায় এক মিনিটের নীরবতা ও নিষ্প্রদীপ মহড়ার মধ্য দিয়ে কালরাত্রিতে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শুরু করে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। এরপর নতুন প্রজন্মের হাতে মশাল ও জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সম্মুখ যুদ্ধে নেতৃত্বে থাকা সেক্টর কমান্ডাররা।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনে মোমবাতি জ্বেলে ভয়াল কালরাত্রি স্মরণ করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পথে আলোকযাত্রার মুহূর্ত স্মরণ করা হয়। ঐক্যবদ্ধ থেকে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথে শেষ হয় সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের কর্মসূচি।
কালরাত্রির শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
অনুষ্ঠানের ঘোষণাপত্রে ফোরামের মহাসচিব সাংবাদিক হারুন হাবীব বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে বর্বরোচিত গণহত্যা শুরু করেছিল, তা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ের ভয়াবহতম এক গণহত্যা। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম সে কারণে- ২৫ শে মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসাবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছে।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম বলেন, পাকিস্তানিরা যে বর্বরতা চালিয়েছিল, তার বিচার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা এদেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর নির্মম হামলা পরিচালনাকারী সেনাসদস্যদের বিচার করার কথা বললেও গত ৪৫ বছরে করেনি। গণহত্যার জন্য ক্ষমা চায়নি, মাফ চায়নি।
অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করান ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী বীরউত্তম।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান, দেশাত্ববোধক কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়। এছাড়া সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধারা তরুণ প্রজন্মের হাতে মশাল এবং লাল-সবুজের পতাকা তুলে দেন।