চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

করোনার ভ্যাকসিন নিয়েও ৮৬ শতাংশের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট

ভ্যাকসিন গ্রহণ করার পরও করোনাভাইরাসের প্রবল সংক্রমণের পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ৮৬ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের ফলে এই প্রবল সংক্রমণের মাত্র ৯.৮ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এবং ০.৪ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছে।

এটাকে বলা হচ্ছে ব্রেকথ্রো সংক্রমণ বা ভ্যাকসিন গ্রহণের পরের সংক্রমণ। ভ্যাকসিন বিতরণের পরের সংক্রমণ নিয়ে ভারতে পরিচালিত সবচেয়ে বড় ও প্রথম দেশব্যাপী গবেষণার তথ্য বলছে, তাদের বিশ্লেষণ থেকে বলা যায় ভ্যাকসিনের কারণে হাসপাতালে ভর্তির হার ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

গবেষণা থেকে তাই বলা হয়েছে, ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভকে বাড়ানো এবং জনগণের মধ্যে দ্রুত ভ্যাকসিন বিতরণই হতে পারে করোনাভাইরাসের মারাত্মক তরঙ্গ প্রতিরোধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। আর এটাই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপর থেকে চাপ কমিয়ে দেবে।

এই গবেষণার নমুনা সংগ্রহের সময় আরও দুইটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা গেছে। সেগুলো হলো, ডেল্টা এওয়াই ১ এবং এওয়াই ২।

গবেষণার জন্য আইসিএমআর ৬৭৭টি নমুনা সংগ্রহ করেছিলো যারা কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের একটি ও দুটি ডোজ গ্রহণ করেছিলেন এবং যারা করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। দেশের ১৭টি রাজ্য ও ইউনিয়ন থেকে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

ব্রেকথ্রো সংক্রমণের বেশিরভাগই হয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলে আলফা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য দেখা গেছে।

গবেষণায় অংশ নেওয়াদের মাত্র ৬৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে, যা ৯.৮ শতাংশ আর প্রাণ হারিয়েছে তিনজন, এটা ০.৪ শতাংশ।

অংশ নেওয়া ৬৭৭ জনের মধ্যে ৮৫ জন প্রথম ডোজ নেওয়ার পরেই করোনায় সংক্রমিত হন, আর ৫৯২ জন দুটি ডোজ নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের ৬০৪ জন কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এবং ৭১ জন নিয়েছেন কেভ্যাক্সিন, দুজন নিয়েছেন সিনোফার্মের ভ্যাকসিন।

অংশ নেওয়াদের ৪৮২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের একটি বা দুটি উপসর্গ ছিলো, শতাংশের হিসেবে সেটা ৭১ শতাংশ। আর ২৯ শতাংশের কোনোই উপসর্গ ছিলো না।