করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকেই পুরো বিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষের অপেক্ষা ছিল ভ্যাকসিনের জন্য। কিন্তু ভ্যাকসিন আসার পরে অজ্ঞাত কারণে ও নানা গুজবের শিকার হয়ে ভ্যাকসিনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে।
এই অবস্থায় সুসংবাদ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাহিদ মালেক বলেছেন: প্রতিদিনই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পেতে আগ্রহীদের নিবন্ধন করার সংখ্যা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন। সারাদেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। প্রস্তুতির কাজও সম্পন্ন হয়ে গেছে।
ভারতের সেরাম ইনিষ্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। যা ইতিমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে ফ্রন্টলাইনারদের মধ্যে। এখন পর্যন্ত যাদের উপরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো ধরেণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা কোনো ধরণের নেতিবাচক কিছু হয়নি, সে হিসেবে ভ্যাকসিনকে নিরাপদ বলা যেতেই পারে।
চলতি সপ্তাহে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উল্লেখজনক হারে কমে গেছে, যা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। যা খুবই ইতিবাচক বলে আমরা মনে করি। যদিও এরইমধ্যে সারাবিশ্বে ২২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এই মরণঘাতি ভাইরাসে। বাংলাদেশেও মারা গেছে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার পাশাপাশি ভ্যাকসিনই একমাত্র ভরসা।
দেশে ভ্যাকসিন কীভাবে এলো, কীভাবে আসা উচিত ছিল, এগুলো নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও ভ্যাকসিন এসেছে এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। বিশ্বের বহুদেশ এখনও ভ্যাকসিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার দৌড়ে বহু পেছনে, সেখানে আমাদের দেশে সবজেলায় ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে করোনার ভ্যাকসিন। বাস্তবতাকে মেনে দ্রুত সারাদেশে ভ্যাকসিন কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ করোনা মুক্ত হোক, এই আমাদের প্রত্যাশা।