চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার ভোলা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম চৌধুরী পাপনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর এই নির্দেশ দেয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভোলা সরকারি কলেজের সামনে পাপনের বাড়ির দরজা থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি সগির মিয়া জানান, তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ ৪টি মামলা রয়েছে। তবে তাকে চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক জানান, কয়েক দিন ধরে ভোলায় কমিটি গঠন নিয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলছে। এ নিয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত জেলা কমিটি ভেঙে দিতে কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে। গতকালও সদর রোডে মিছিল সমাবেশ করেছে নতুন পদ প্রত্যাশীরা।
তবে তার মুক্তির জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাসহ ভোলার ছাত্রলীগ নেতারাও দাবি জানিয়েছে। তার মুক্তি চেয়েছে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
আটক পাপনের পরিবার দাবি, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে চাঁদাবাজি মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার।
অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ শাহীন গত এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ইয়াবার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তার পরিবারও তখন থেকে দাবি করে আসছে, তিনিও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলের শিকার।