অসময়ের বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় বিভিন্ন এলাকার আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে উঠতি আলু পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
ভোলায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে অধিকাংশ ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় ক্ষেতের আলুতে পচন দেখা দেয়। অনেক কৃষক পচন ঠেকাতে অপরিণত আলু তুলে ফেলছেন ক্ষেত থেকে।
ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রাজাপুর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, আরো ১৫/২০ দিন পর আলু তুলতে পারলে একর প্রতি ২০-২৫ মন বেশি ফলন পাওয়া যেত।
এ বছর ভোলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় পাঁচ হাজার তিনশ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে আট হাজার ছয়শ’ ৯০ হেক্টরে।
শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ডামুড্যা ও সদর উপজেলায় এবার আবাদ মৌসুমে বন্যার পানি নামতে দেরি হওয়ায় রোপনে বিলম্ব হয়। আলু তোলার সময় আবারও বৃষ্টির কবলে পড়েন কৃষক। এতে অনেক ক্ষেতের আলু পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে।
শরীয়তপুরে এবার দু’ হাজার আটশ’ ৭০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্য ধরেছিলো কৃষি বিভাগ। লক্ষ্য ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে তিন হাজার দুশ’ ৯০ হেক্টর জমিতে।
আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে জেলায় একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন কৃষক।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্ট: