ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে ডাকা দোয়া অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকে থমথমে অবস্থা থাকলেও বিকেল ৪টা থেকে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
এছাড়া ভোলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটে যাত্রীবাহী বাস ও ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ ও গুলিতে নিহত ৪ জনের জন্য সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা দোয়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভোলার অভ্যন্তরীণ সকল রুটের যাত্রীবাহী বাস ও ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল।
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক জানিয়েছেন: নিরাপত্তার স্বার্থে বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান: বিকেল ৪টা থেকে আবারও বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ৩টায় ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দোয়া অনুষ্ঠান আহ্বান করে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তা স্থগিত করা হয়।
ভোলায় হঠাৎ গঠিত সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান জানান: প্রশাসন আগে মৌখিকভাবে অনুমতি দিলেও বৃহস্পতিবার রাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞার চিঠি দেয়া হয়। অনুমতি না পাওয়ায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল করিমের সাথে আলোচনা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
অন্যদিকে এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভোলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কঠোর নিরপাত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরে তিন বাহিনীর যৌথ টহল দেখা গেছে। ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আইনশৃংখলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়ন করা হয়।
এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান: শুক্রবার সকালে শহরের বাংলা স্কুল ব্রিজ এলাকা থেকে সন্দেহভাজন একজনকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৯ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রথমে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়। এরপর সেখানে পোস্ট দিয়ে উস্কে দেওয়া হয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের। গুজবের পালে হাওয়া দিয়ে পরদিন পরিস্থিতি এমন অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি করতে বাধ্য হয় পুলিশ।