লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিখোঁজদের মধ্যে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার চার যুবক রয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
তাদের কোন সন্ধান না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নিখোঁজদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
এছাড়াও ওই নৌকায় থাকা একই ইউনিয়নের আরও দুই যুবক তিউনিশিয়ার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন বলেও স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা জানান: গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিউনিশিয়ার উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই নৌকায় শরীয়তপুরের বেশ কয়েকজন যুবক ছিল বলে তিউনিশিয়ার আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা শিশির মকদম তার স্বজনদের জানিয়েছে।
নিখোঁজ চার যুবক হলেন: শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের পাটদল গ্রামের মৃত হাসেম মোল্যার ছেলে সুমন মোল্যা (২৪), দক্ষিণ চাকধ গ্রামের গৌতম দাসের ছেলে উত্তম দাস (২৩), হারুন হাওলাদারের ছেলে জুম্মান হাওলাদার (১৯) ও চাকধ গ্রামের মোর্শেদ আলী মৃধার ছেলে পারভেজ মৃধা (২২)।
একই নৌকায় থাকা দক্ষিণ চাকধ গ্রামের আলাউদ্দিন মকদমের ছেলে শিশির মকদম (২২) ও শিশিরের মামা নলতা গ্রামের মিন্টু মিয়া (৩০) তিউনিশিয়ার একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন। ওই যুবকরা একই সাথে গত বছর রমজান মাসে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়া যায়।
নিখোঁজদের স্বজনদের দাবি সন্তানরা বেঁচে থাকলে তাদের কাছে দ্রুত ফিরিয়ে দেয়া ও মারা গেলে লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা।
এদিকে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কজী আবু তাহের বলেন: ভুমধ্যসাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় শরীয়তপুরের কেউ নিখোঁজ হয়েছেন এ রকম কোন তথ্য তারা এখনো সরকারিভাবে পাননি।