বাংলদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের চুক্তি করতে ভুটানে পৌঁছেছেন সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চ্যানেল আইকে তিনি বলেছেন, এটি বর্তমান সরকারের অনেক বড় এক অর্জন, এর মাধ্যমে অনেক সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে।
বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ভুটানে আসতে হয় আকাশ পথে অথবা ভারতের ভিসা নিয়ে সড়ক পথে বার বার গাড়ি বদল করে। আর আকাশ পথে আসার খরচ অনেক বেশি।
এছাড়া ভুটানে মাঝে মাঝেই দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিমান অবতরণ করতে পারে না। তখন আবার সেই বিমানকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের কোনো এক বিমান বন্দরে। আর সেখানে চলতে থাকে আবহাওয়া ঠিক হবার জন্য অপেক্ষা।
এমন পরিস্থিতি ঠিক করতে ভুটানে ১৫ জুন চার দেশের সড়ক পরিবহন বিষয়ে চুক্তি করতে ভুটানের উদ্দেশ্যে রওনা হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কিন্তু সেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাকেও ।
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত: প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবেই এই চুক্তি হচ্ছে। সেদিক থেকে চুক্তিটি আমাদের সাফল্যের মুকুটে নুতন পালক যুক্ত করবে। অর্থনীতিতেও সুদূরপ্রসারী ফল ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা আসেনি। পর্যায়ক্রমে তারাও আসবে বলে আশা করি। এন্ট্রি এবং এক্সিট দুটো সুযোগই রাখা হয়েছে’।
তার মতে, অবিশ্বাসের জায়গা থেকে সরে এসে যে চুক্তি হচ্ছে তাতে বাংলাদেশ যেমন লাভবান হবে, তেমনি লাভবান হবে চুক্তির অন্তর্ভূক্ত অন্য দেশগুলো।
চুক্তির কথা শুনে এখন অপেক্ষার প্রহর গুণছেন পর্যটকসহ ভুটানে ব্যবসা করা বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও ভূটানের ব্যবসায়ীরা।
প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতে, এই চুক্তি হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো হবে। সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপিত হলে প্লেনের বিড়ম্বনা এড়ানো যাবে।
ব্যবসায়ীদের আশা চুক্তির পর সবকিছু ঠিকমতো চললে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশগুলো এগিয়ে যাবে অনেক দূর।