চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ

মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। শিরোপার মঞ্চে ভারতের মুখোমুখি হবে লাল-সবুজের কিশোরীরা। ম্যাচ ১৮ আগস্ট।

ভারতকে হারিয়েই গত বছর নিজেদের প্রথম শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেমিতে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ভারতের কিশোরীরা।

বৃহস্পতিবার চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে স্বাগতিক রক্ষণে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করে খেলতে থাকে বাংলাদেশের কিশোরীরা। ম্যাচে প্রথম সাত মিনিটেই ভুটানের গোলমুখে দুটি সুযোগও আছড়ে ফেলে। ১৩ মিনিটের সময় স্বাগতিক বক্সের খানিক বাইরে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ।

মিডফিল্ডার মণিকার শট অবশ্য রক্ষণ দেয়ালে বাধা পেয়ে ফেরত আসে। সেই বল ধরে ডানদিকে দাঁড়ানো শামসুন্নাহারকে ক্রস দিয়েছিলেন মণিকা। শামসুন্নাহার বল ধরে সুবিধাজনক জায়গায় থাকলেও অফসাইডের পতাকা তুলে বসেন রেফারি।

সাফল্য আসতে অবশ্য সময় লাগেনি। ম্যাচের ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার দর্শনীয় শটে জাল খুঁজে নেন রাইটব্যাক আনাই মোঘিনী।

গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচে ১৭ গোল করা লাল-সবুজের কিশোরীরা এগিয়ে থেকেও আক্রমণে ছাড় দেয়নি। একেরপর এক সুযোগ সৃষ্টি করে হামলে পড়তে থাকে ভুটানের রক্ষণে। ৩৭ মিনিটে তো গোলও পেয়ে যায়! তবে অফসাইডের খাড়ায় সেটি বাতিলের খাতায় জমা হয়।

এর এক মিনিট পরই অবশ্য দ্বিতীয় সাফল্যটি আসে। ফরোয়ার্ড আনুচিং মোঘিনী দারুণ এক সাইডভলিতে দর্শনীয় গোলটি করেন।

বাংলাদেশের তৃতীয় সাফল্য আসে তহুরা খাতুনের পায়ে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে সাফল্যের পাল্লা ভারী করেন এ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

প্রথমার্ধে আরও অন্তত আধাডজন সুযোগ সৃষ্টি করে ফাইনালের সুবাস পেতে পেতেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

মধ্যবিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের ধার ধরে রাখে লাল-সবুজরা। চতুর্থ গোল আসে মারিয়া মান্ডার থেকে। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে দর্শনীয় শটে প্রতিপক্ষ জালে বল জড়ান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

শাহেদা আক্তার রিপা ম্যাচের ৮৬ মিনিটে আরেকদফা ব্যাবধান বাড়ান। বড় জয়ে শেষ পেরেক সেটিই।

পাকিস্তানের জালে প্রথম ম্যাচে ১৪ গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে জয় ৩-০ গোলের। তাতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে ওঠে মারিয়া-তহুরারা।