ভিয়েতনাম থেকে ফিরিয়ে আনা ৮১ বাংলাদেশীকে কোয়ারেন্টাইন শেষে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাশ চন্দ্র অধিকারী এ আদেশ দেন।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশী অ্যাম্বাসি দখলের অভিযোগ রয়েছে প্রতারণার শিকার হওয়া এই বাংলাদেশীদের বিরুদ্ধে।
এরআগে সকালে ভিয়েতনাম ফেরত ৮১ জন অভিবাসী শ্রমিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয় পুলিশ। অভিবাসী শ্রমিকদের প্রত্যেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ছাড়পত্র নিয়ে ভিয়েতনামে যান বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) নাবিদ কামাল শৈবাল জানান, গ্রেপ্তার ৮১ জনের সবাই ভিয়েতনাম ফেরত। তারা সেখানে অপরাধে জড়ানোয় জেলখানায় ছিলেন। সেখান থেকে পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তবে তারা ঠিক কী ধরনের অপরাধ করেছেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট ভিয়েতনাম থেকে ১০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদের সবাইকে উত্তরা দিয়াবাড়ী ক্যাম্পে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। ৩১ আগস্ট কোয়ারেন্টিন শেষ হয় তাদের। এরমধ্যে ভিয়েতনামে যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে অভিযোগ আসে। সে অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার ১০৬ জনের মধ্যে অভিযুক্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।