দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ গড়ে তুলেছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আলমাছা’। সাভারের এই তরুণ ব্যবসায়ী বর্তমানে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানটি মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করছেন পাশাপাশি নিজের ব্যবসাকে নিয়ে যাচ্ছে সফলতার দিকে।
মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ তার বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে উদ্যোক্তা হয়েছেন। স্বপ্ন দেখতেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হবার। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন ২০১৯ সালের মে মাসে। শুরুটা তার তেমন ফলপ্রসু ছিল না। বহুবার বহু যাত্রায় ব্যর্থ হয়ে বর্তমানে তার নতুন প্রতিষ্ঠানটিকে প্রচণ্ড পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতার দিকে নিয়ে এসেছেন। তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন অর্ডার করেন।
তরুণ বয়সে উদ্যোক্তা হওয়ায় মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর প্রতিবন্ধকতাও এসেছে। তিনি বলেন, বহুবার ব্যর্থ হয়েছি। কখনো রেস্তোরাঁ ব্যবসায়, কখনো কসমেটিকস, কখনো সেবাধর্মী, ফটোগ্রাফির ব্যবসায় এসে লোকসান হয়েছে। তারপরও অদম্য শক্তি আর সাহস নিয়ে এগিয়েছি। নতুন নতুন চিন্তা করেছি। বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে মিশেছি। জেনেছি কীভাবে কী করা যায়। সেমিনার এ যাওয়ার সুযোগ হতো না, তবে ইউটিউবে দেখে নিতাম।
তিনি বলেন, ‘আলমাছা’ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছি। এটা আমার জন্যে একটা পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় সফলতা, ব্যর্থতা সবই আছে। আমি এরকম আরো পরীক্ষার সম্মুখীন হতে চাই। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেছি। চারটি অপশন রয়েছে-বিকাশ, রকেট, নগদ এবং ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা।
আলমাছা’ ই-কমার্স পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশেষ একটি সুবিধা আছে যেটা হচ্ছে কাস্টমারদের সুবিধার জন্য আমরা রেখেছি ইন্টারেস্টিং রিটার্ন অপশন। আমাদের ডেলিভারিম্যান থাকা অবস্থায় চেক করার পর কাস্টমারের যদি কোনো পণ্য পছন্দ না হয় তাহলে সাথে সাথে রিটার্ন করতে পারবেন। যদি কাস্টমার পূর্ণ ফেরত দেয় তাহলে তাকে কোনো প্রকার চার্জ দিতে হবে না।
‘আলমাছা’ তার প্রতিষ্ঠানকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান আবদুল্লাহ। বর্তমানে তার সাথে কাজ করছেন আরো ১২ জন। ভিন্ন মাত্রার সফলতার স্বাদ আস্বাদন করতেই নিরলস পরিশ্রম করে এগিয়ে যাচ্ছেন ‘আলমাছা’-এর মতো হাজারও তরুণ উদ্যোক্তা।