ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্কুলের বেইলি রোড শাখার সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের গর্ভনিং বডির সদস্য মুসতারীন সুলতানা।
বুধবার সহপাঠীর মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। তবে যতদিন পর্যন্ত সহপাঠী হত্যার বিচার না পাবেন, ততদিন তাদের অবস্থানে অনড় থেকে অান্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সকাল থেকে একাধিকবার অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি গভর্নিং বডির সভাপতিকেও পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের কাছে শোক প্রকাশ করতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ আসেনি।
গণমাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর শিক্ষকদের প্রতিনিধিরা বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন– এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হবে ।
২০১২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিতেও চৈতী রায় নামে আরেক শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে তাকে ভর্তি না করায় আত্মহত্যা করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়ে।
এরপর সোমবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে মেয়েটি।
স্বজনদের দাবি, ওই ঘটনার পর অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আরা হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একই দিন রাতে অরিত্রিকে অাত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন তার বাবা দিলীপ অধিকারী। এতে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনাহেনাকে অভিযুক্ত করা হয়।