সিঙ্গাপুরের ফার্স্ট জেন্টলম্যান মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল হাবশি ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের জন্য উপহার পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার সিলেট মহানগরীর দরগা গেইট এলাকায় হোটেল স্টার প্যাসিফিকে ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে সিলেটের উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার পর সিঙ্গাপুর তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। আজ ভাসানচরে আরও ৩ হাজার রোহিঙ্গা যাবে এবং ১ লক্ষ সেখানে নেওয়া হবে। রোহিঙ্গাদের মঙ্গলের জন্য তাদের ভাসানচরে নেওয়া হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: সিলেটের সকল নদীর পাড় অন্যান্য দেশের মতো দৃষ্টিনন্দন হবে। এ বিষয়ে সিলেটের শহরবাসী সাহায্য করছে। এজন্য শহরবাসীকে ধন্যবাদ।
তিনি বলেন: রিংরোড হলে এ শহরের যানজট কমে যাবে। সিলেটে দৃষ্টিনন্দন স্বাধীনতা টাওয়ার নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন: শেখ হাসিনার সরকার আছে বলে সারাদেশে অভাবনীয় সাফল্য দেখছি।
ড. মোমেন মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সিলেট একটি বিশেষ কর্মসূচি হবে বলে প্রত্যাশা করেন।
এসময় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনার তথ্যচিত্র ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বক্তৃতা করেন।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী যৌথভাবে সিলেট জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট উদ্বোধন করেন। এ সময় সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া উভয় মন্ত্রী সিলেটের কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ স্থানীয় সরকারের কয়েকটি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন।