টানা বৃষ্টিতে আবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ের নিচে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া যেসব এলাকায় বন্যার পানি নেমে গিয়েছিল সেখানেও বৃষ্টি আর উজানের ঢলে নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা।
বান্দরবান
ভারী বৃষ্টিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে আবারও পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বান্দরবান সদর, লামা, আলিকদম, নাইক্ষ্যংছড়িসহ ৭ উপজেলায় সর্তকতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব এলাকায় কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার পাহাড়ের নিচে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে।
রাঙামাটি
রাঙামাটিতে আবারও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় আতঙ্কিত জেলাবাসী। পর্যটন শিল্পের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল এই জেলা এখন পর্যটন শুন্য হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রাম
উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, চিলমারী ও উলিপুর উপজেলার নিন্মাঞ্চলের ২০ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে এভাবে পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরই মধ্যে জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
দিনাজপুর
দু’দিনের হালকা ও ভারী বর্ষণে দিনাজপুরে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট,পুকুর,জলাশয় ও ফসলি জমি। পানির তোড়ে নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার সব বাঁধ ভেঙে গেছে।
হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি ২শ’ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা সর্তকতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। ঠাকুরগাও-পঞ্চগড়েরর রেল লাইনে পানি উঠায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।