ভারত সফর শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টির সিরিজে সফরকারীরা জয়ের দেখাই পায়নি। ফলাফলে প্রাপ্তির স্কোরলাইন শূন্য! তারপরও শূন্য হাতে ফেরা মনে করেন না টাইগ্রেস অধিনায়ক রুমানা আহমেদ।
চ্যানেল আই অনলাইনকে রুমানা জানালেন, শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জ তাদের মাঝে সঞ্চার করেছে নতুন উদ্দীপনা।
‘ভারতে অনেকদিন পর খেলতে গিয়েছি। আদতে ‘এ’ টিম হলেও ভারতের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের অভিজ্ঞতা আছে। সবকিছু বিবেচনা করলে ভাল টিমের বিপক্ষে খেলায় আমাদের উপকার হয়েছে। আমাদের দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় ছিল, উন্নতির অনেক জায়গাও আছে। উন্নতি করেছিও। সফরটা খারাপ না, আবারও ভালও না। একটা-দুইটা ম্যাচ জিতলে বলতাম ভাল ছিল।’
আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটিতে অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। রুমানার মতে, সীমাবদ্ধতার শৃঙ্খল ভাঙার ছায়া দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ভারত সফরে এটিকে বড় প্রাপ্তি হিসেবে দেখছেন তিনি।
‘অনেক উন্নতি দেখা গেছে। পাওয়ারফুল শট খেলেছে যারা, তারা নতুন এসেছে। হ্যাপি, লতা, সালমা, পিংকি ভাল ভাল শট খেলছে। বাইরে থেকে হয়ত ওভাবে উন্নতিটা দেখা যাচ্ছে না। তবে পাওয়ার ক্রিকেট খেলার চর্চা দেখা গেছে। বলব, সেটি শুরুই হল ভারত সফর থেকে।’
প্রতিপক্ষ দলের মেয়েদের খেলা দেখেও শিখেছেন রুমানারা। বাংলাদেশ পুরুষ দলের মতো মেয়েরাও একদিন ছন্দে চলে আসবেন মনছবিতে সেটি স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছেন। সেটা শেখার সুযোগ বাড়ছে বলেই।
‘ভারতীয় মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি, খেলার সময় শারীরিক ভাষা দেখে অনেককিছু শিখেছি। ২-৩ বছর আগে বাংলাদেশ পুরুষ দল নিয়ে আমরা চিন্তা করিনি বড় বড় টিমকে তারা বিট করতে পারবে। টিম স্পিরিট থেকে এটা চলে এসেছে। একটা টিম লম্বা সময় ধরে অনুশীলন করলে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে, নিয়মিত ম্যাচ খেললে অনেক উপরে যেতে পারে। সেখানে যাওয়ার জন্য আমরা ছন্দে চলে এসেছি।’