কানাডা ভারত এবং পাকিস্তান থেকে সমস্ত সরাসরি যাত্রী এবং ব্যবসায়িক বিমানের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ৩০ জুন থেকে আরও ৩০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে।
কানাডার অভ্যন্তরে বাইরের দেশ থেকে যেন কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্ট আসতে না পারে সেজন্যে কানাডা সরকার ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের যাত্রীদের সব ধরনের ফ্লাইট কানাডা প্রবেশে গত মাসের ২২ এপ্রিল প্রথম ৩০ দিনের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল।
২২ মে এক মাসের মেয়াদ শেষ হতেই না হতেই নতুন করে আরো এক মাসের জন্য নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন এবং প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম বহনকারী কার্গো বিমানগুলি কানাডায় প্রবেশের অনুমতি অব্যাহত থাকবে।
যদিও যাত্রীরা এখনও কানাডায় আসতে পারবেন, তবে অন্য কোন পথে। সেখানে অবশ্যি যাত্রীর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ থাকতে হবে।
উল্লেখ্য এক ব্রিফিংয়ে কানাডার পরিবহন মন্ত্রী ওমর আলঘব্রা এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
সরকারের ঘোষণায় এয়ার কানাডা গত সপ্তাহে ভারতে ফ্লাইট নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্ত ইতিমধ্যে গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে। গতবছরের মার্চ মাস থেকে এটি অব্যাহত ভাবে বন্ধ রয়েছে।
বিশিষ্ট কলামিস্ট, উন্নয়ন গবেষক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মোঃ মাহমুদ হাসান বলেন- কোভিড কালের শুরু থেকেই জাস্টিন ট্রুডোর সরকার আগাম সতর্কতা নিতে পিছপা হননি। দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯ এর নতুন নতুন ভ্যারিয়েনটের ব্যাপক উপস্থিতিতে ভারত, পাকিস্তানের সাথে বিমান যোগাযোগের ৩০ দিন বাড়ানোর ঘোষণা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
অন্যদিকে কানাডায় গত বছরের মার্চ মাসে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। তারপর থেকেই দেশটির সরকার দেশের নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও শক্তিশালী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে দেশটির নাগরিকদের স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেই ভারত ও পাকিস্তানের সাথে ফ্লাইট স্থগিত আরো ৩০ দিন বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়াও নাগরিকরা যেন দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসে সেদিকেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশের সরকার।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৬১ হাজার ৫ শত ৬৪ জন, মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ হাজার ২শ’ ৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৪শত ৮১ জন।