ভারতের উড়িশ্যার ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ আগুনে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরো অনেকে। সোমবার দিবাগত রাতে ভুবনেশ্বরের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে অ্যান্ড সাম হসপিটালে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো জানা যায়নি।
আশঙ্কা, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা। দমকল বাহিনী পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একতলায় ডায়ালিসিস বিভাগে প্রথম আগুন লাগে। সেখান থেকেই একই তলায় থাকা জরুরি বিভাগে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, জরুরি বিভাগের সমস্ত রোগীই গুরুতরভাবে অসুস্থ। আগুন লাগলে তাদের পক্ষে পালিয়ে বাঁচাও সম্ভব নয়। ফলে ভেতরে আগুনে পুড়েই প্রাণ খোয়াতে হবে তাদের।
এখনও কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত না হলেও, শর্ট সার্কিটের জন্যই আগুন লেগেছে বলে জানাচ্ছে দমকল বাহিনী। আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে ৫টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে আগুনের তীব্রতা বাড়ায় উদ্ধারকাজে যোগ দেয় আরও ২টি ইঞ্জিন। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের ভেতর কমবেশি ৫০০ রোগী ছিলেন। এছাড়াও ছিলেন চিকিৎসক, নার্স ও বেশ কয়েকজন রোগীর আত্মীয়।
আগুন লাগার পরেই আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল ভবনে, মুহূর্তে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। মৃতদের মধ্যে অনেকেই ধোঁয়ার তীব্রতায় দম আটকে প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু ধোঁয়ার জন্যই তাৎক্ষণিকভাবে অনেককে উদ্ধার করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়ে গেছে।
হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ থেকেই উদ্ধার হওয়া রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকারি হাসপাতাল ও আমরি হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি কয়েকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরেই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে জানিয়েছেন, উদ্বেগে ও চিন্তায় আছেন তিনি। মৃতদের পরিবারের প্রতি তার গভীর সমবেদনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার সঙ্গেও কথা বলেছেন।