চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতে শ্মশান-কবরস্থানেও তীব্র সংকট

একদিনে শনাক্ত প্রায় ৩ লাখ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন ও বেড সংকটের পাশাপাশি মরদেহের দীর্ঘ সারি শ্মশান ও কবরস্থানে।

শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে প্রায় ৩ লাখ (২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯০) মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত ১৬ এপ্রিল থেকে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা  হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে স্বামীর জন্য অক্সিজেন এমনকি কোন বেডের ব্যবস্থা করতে পারেনি এক নারী। পরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে হাসপাতালের বাইরেই মারা যান তার স্বামী।

পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহভাবে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এর বড় প্রমাণ, গত ১৮ জুন ভারতে মাত্র ১১ হাজার করোনা শনাক্ত হয়েছিল। ঠিক ৬০ দিন পর থেকে প্রতিদিন নতুন করে আরও কয়েকগুণ নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে।

গত সপ্তাহের শুরুর দিকে ভারতে শনাক্ত রোগী লাখ ছাড়িয়ে যায়। তা দ্বিগুণ হতে সময় লাগে মাত্র ১১ দিন। এমনর পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক শনাক্ত ১ থেকে ২ লাখে উঠতে সময় লেগেছিল ২১ দিন।

শুধু তাই নয়, মোট শনাক্ত রোগী সংখ্যায় চলতি সপ্তাহে ব্রাজিলকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা ভারত এখন কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই পেছনে। দেশটিতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্ত সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ হাজার ২০ জন যোগ হয়ে দেশটিতে ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাও ১ লাখ ৮২ হাজার ৫৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।

ভারতে সংক্রমণের সাথে সাথে তীব্র সংকট আইসিইউ বেড এবং অক্সিজেনের। অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অক্সিজেন সরবরাহেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এমনকি এই পরিমাণ মৃতদেহ প্রতিদিন হলে সুষ্ঠুভাবে সৎকার সম্পন্ন করা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে।

ভারতে এখন পর্যন্ত যত রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তার এক চতুর্থাংশই মিলছে মহারাষ্ট্রে। পশ্চিমাঞ্চলীয় এ রাজ্যে ভাইরাস ৭৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে।

গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ভারতের অবস্থান প্রথমে। ভারতের পরে রয়েছে ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র।