ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। যেখানে রাজনীতিবীদ ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষ পছন্দের দলের হয়ে প্রচার প্রচারণায় নেমেছেন। অনেকে দলমতের উর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। এই তালিকায় সামিল আছেন বলিউডের বহু তারকারাও। অনেক নতুন পুরনো তারকা ভোটে যেমন লড়ছেন, তেমনি ভোটাধিকার প্রয়োগে জনসাধারণকে আহ্বানও করেছেন। অথচ তাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন যারা অন্যকে ভোটের আহ্বান জানালেও নিজেই পারছেন না ভোট দিতে!
হ্যাঁ। ভারতের চলতি লোক সভা নির্বাচনে এমন বহু তারকা রয়েছেন যারা নাগরিক অধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়ে নিজেরাই পারছেন না ভোট দিতে। তাদের মধ্যে অক্ষয় কুমার, আলিয়া ভাট, দীপিকা পাডুকোন, সানি লিওন, ক্যাটরিনা কাইফ, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, ইমরান খানসহ অনেকে।
কিন্তু কেন তারা ভোট দিতে পারছেন না? তার কারণ জানিয়েছে মুম্বাই মিরর। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি খবরে তারা জানায়, ভারত সরকারের নিয়ম অনুসারে কোনও ভারতীয় দ্বৈত নাগরিকত্ব উপভোগ করতে পারেন না। যদি করেন, তাহলে ভারতে তার নাগরিকত্ব হারাবে। আর এ কারণেই বেশ কয়েকজন তারকা অভিনেতা অভিনেত্রী ভারতের নাগরিক নন বিধায় নির্বাচনে অংশ গ্রহন কিংবা ভোটাধিকার হারিয়েছেন।
অক্ষয় কুমার মুম্বাইয়ে থাকলেও তার পাসপোর্ট কানাডার। সেই দেশ থেকে নাগরিকত্বের প্রস্তাব দেয়া হলে অভিনেতা তা গ্রহণ করেন। তাই ভারতের নাগরিকত্ব হারাতে হয় অক্ষয়কে।
দীপিকা পাডুকোনেরও একই অবস্থা। তিনিও ভারতীয় নাগরিক নন। তিনি ডেনমার্কের নাগরিক। সেখানেই কোপেনহেগেনে তার জন্ম। ফলে ড্যানিশ পাসপোর্ট রয়েছে তার।
একইভাবে ক্যাটরিনা জন্মেছেন হংকংয়ে। তবে তার রয়েছে ব্রিটিশ পাসপোর্ট। আলিয়াও ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। তার মা সোনি রাজদানও ব্রিটিশ নাগরিক। ফলে ভোট দেওয়ার অধিকারী নন তিনিও। আর জ্যাকুলিনতো জন্ম ও কর্মসূত্রেই শ্রীলঙ্কার নাগরিক। ২০০৬ সালে মিস ইউনিভার্স শ্রীলঙ্কা খেতাব অর্জন করে বলিউডে পা রাখেন ২০০৯ সালে। এরপর থেকেই এখানে কাজ করছেন তিনি।
আর সানি লিওনতো জন্মসূত্রে কানাডিয়ান। সেখানেই তার বেড়ে উঠা। কাজের ক্ষেত্রও ছিলো সেখানেই। কিন্তু বিগ বসের মধ্য দিয়ে বলিউডে এসে এখানেই নিয়মিত কাজ শুরু করেন। আমির খানের ভাগ্নে ইমরান খান। তিনিও পারছেন না ভোট দিতে। কারণ তিনি আমেরিকার নাগরিক।