ভারী বৃষ্টিপাতে আকস্মিক বন্যায় ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড এবং পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছে ২২ জন। রাজধানীসহ কয়েকটি প্রদেশে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শুধু হিমাচল প্রদেশেই দুই নেপালিসহ ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৯ জন। আকস্মিক বন্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রদেশের কুল্লুতে আটকা পড়েছেন ২৫ জন পর্যটক।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ভূমিধসের কারণে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে কলকা ও সিমলার মধ্যে। এছাড়া চন্ডিগর ও মানালির মহাসড়কও যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এসব এলাকার স্কুল কলেজ।
বন্যায় উত্তরাখন্ডে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে ২২ জন। পাঞ্জাবে একটি বাড়ির ছাদ ধসে মারা গেছে ৩ জন।
যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে গঙ্গা ও ঘাগড়া নদীতেও পানি ফুঁসে উঠেছে।
বাড়াউন, গড়মুক্তেশ্বর, নারাউনা এবং ফররুখাবাদে গঙ্গা বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পালিয়াকালানে সারদা নদী এবং এলজিনব্রিজ এলাকায় ঘাগড়া নদীরও একই অবস্থা।
রাজধানী নয়াদিল্লি, হারিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশের বেশ কিছু এলাকায় বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।