ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭। এনডিটিভির বরাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভারতের মুম্বাইয়ে আজ ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্তে মৃতের সংখ্যা তিনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে সেদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৭ জন।
সংক্রমণ এড়াতে সেদেশের সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স এবং আফগানিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আগত ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল জানিয়েছে, বেসরকারী পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে তারা যাতে করোনায় আক্রান্তদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করেন।
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা:
ভারতের হরিয়ানায় করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ২২ জন বিদেশি রয়েছেন। তবে আক্রান্তদের সংখ্যা সবথেকে বেশি রয়েছে মহারাষ্ট্রে। যা বর্তমানে ৩৯। দুবাই ফেরত মুম্বাইয়ে আজ যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি মূলত হাসপাতালে তার ভ্রমণ বিষয়ে কোন তথ্য দেননি। দুবাই থেকে এসে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে পরীক্ষা করিয়েছেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করেছেন। কেননা তার স্ত্রীর মধ্যেও কোভিড-১৯ পাওয়া গেছে এবং সেটি পজেটিভ ছিল। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
লাদাখের কমিশনার সেক্রেটারি রিগজিন সাম্ফিয়ালের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, দিল্লির নোইডো এলাকায় ২জন এবং লাদাখে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত দুইয়ের বেশি। যাদের মধ্যে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে ওই অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা ৬জন।
আইসিএমআর এর মহাপরিচালক ড. বলরাম ভাগার্ভা এনডিটিবি’র বরাতে বলেছেন, তারা করোনায় আক্রান্তদের বেসরকারী পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াও বিদ্যমান রেখেছেন। সেখানে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা বিনামূল্যে করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আক্রান্তদের যেমন পরীক্ষা করা দরকার তেমনি যাদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যাবে তাদেরকে ও পরীক্ষার আওতায় আনা হবে। সাউথ কোরিয়া যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আইসিএমআরের পরিচালক ড. রমন আর. সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা বেসরকারি ল্যাবগুলোতে কার্যক্রম শুরু না করলেও করোনায় আক্রান্তদের সুরক্ষার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার পর আমরা কাজ শুরু করবো।
মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে ভারত যদি নিজেদের প্রস্তুত না করে তবে ভারতের অর্থনীতি আগামী ৬ মাসের মধ্যে ধংসাত্মক পর্যায়ে গিয়ে পৌছাবে। দেশের মানুষ নিজেদের মধ্যে এক ধরনের যন্ত্রণা অনুভব করবে। সোমবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষার জন্য সরকার ‘ব্রেক চেইন’ নামের এক ধরনের গণপরিষ্কার কর্মসূচি চালু করেছেন। যে কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- জনসাধারণের কাছে করোনায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির গুরুত্ব তুলে ধরে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। কেরালা রাজ্যে বর্তমানে আরও ৩জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ওই রাজ্যে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জন।
নোবেল করোনা ভাইরাসের বিষয়ে ভারতের জনসচেতনতার প্রশংসার কথা উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৭ হাজার লোকের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।