ডারবানে বিপর্যয়ের মুখে শতরান করে দলকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস। কিন্তু সেঞ্চুরিয়নে ধসে পড়ল ডু প্লেসিস-বিহীন প্রোটিয়াবাহিনী। ১১৮ রানে অলআউট সাউথ আফ্রিকা। যা ঘরের মাঠে তাদের সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জা! ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজ ২-০ করে ফেলেছে ভারত।
সেঞ্চুরিয়নে পিচ দেখে অনেকেরই চেন্নাইয়ের কথা মনে হয়েছিল। সেটা ভেবেই কিনা স্বাগতিকদের ১০ উইকেটের ৮টি ভাগ করে নিলেন ভারতের দুই স্পিনার। যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদবের জোড়া আক্রমণের মুখে হিমশিম খেয়েছেন আমলা-ডুমিনিরা।
ডু প্লেসিস না থাকায় সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে ২৩ বছরে এইডেন মার্করামের কাঁধে। কিন্তু নিজের হোমগাউন্ডে অধিনায়কত্বের স্বপ্নের অভিষেকটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে দেরি হয়নি তার।
সাউথ আফ্রিকা প্রথম ৪ উইকেট হারায় মাত্র ১২ রান আর ২৬ বলে। শেষ ৬ উইকেট ১৯ রান ও ৩৬ বলে। সবমিলে ৩৩ ওভারে স্বাগতিকরা প্যাকেট হয় ১১৮ রানে। যা ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানে গুঁটিয়ে গিয়েছিল তারা।
পরে ছোট টার্গেট টপকাতে একজনের বেশি ব্যাটসম্যানকে খোঁয়াতে হয়নি কোহলির দলকে।
রোববার টস জিতে ফিল্ডিং নেন বিরাট কোহলি। বিপজ্জনক হাশিম আমলাকে (২৩) প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। পরে রিস্ট স্পিনার চাহালকে সামলাতে গিয়ে ব্যর্থ কুইন্টন ডি কক (২০)।
নতুন অধিনায়ক মার্করাম মাত্র ৮ রানেই আউট হন। প্রথম আর শেষ বিপর্যয়ের মাঝে জেপি ডুমিনি ও খায়া জনডো সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অবদান রাখেন। পরে ক্রিস মরিস (১৪) ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের কোট স্পর্শ করতে পারেননি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথমবারের মত ৫ উইকেট নেন চাহাল, ৮.২ ওভার হাতি ঘুরিয়ে ২২ রান খরচায়। তার স্পিন পার্টনার যাদব নেন ৩টি উইকেট, ২০ রানে। বাকি দুই উইকেট দুই পেসার ভুবনেশ্বর ও বুমরাহ’র।
মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতে ছোট একটা ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। কিন্তু ওই ধাক্কার পর শেখর ধাওয়ান ও অধিনায়ক বিরাট কোহলির শক্ত দেয়ালে ঠেকে বারবার ফিরে আসতে হয়েছে স্বাগতিক বোলারদের। দুজনে অপরাজিত থেকেই সিরিজ ২-০ করে মাঠ ছাড়েন।
এইমধ্যে আবার ঘটে একটি নাটকীয় ঘটনাও। জয় থেকে ভারত যখন মাত্র ২ রান দূরে তখনই ইনিংস বিরতির ডাক দেন দুই আম্পায়ার। দর্শকদের সঙ্গে অনেকটা অবাক হন বিরাট কোহলিও। কিন্তু নিয়মের জালে আটকে আর কোন নাড়া দিতে পারেননি তিনি। পরে বিরতি থেকে ফিরে চার বল খরচ করে বাকি দুই রান তুলে নেন কোহলি-ধাওয়ান।