কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরে ১২টি ছিটমহলসহ বাংলাদেশ-ভারতের ১৬২টি ছিটমহলে আজ রোববার থেকে একযোগে যৌথ সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। ছিটমহলবাসীদের নাগরিকত্ব নির্ধারণ এবং হেড কাউন্টিং হালনাগাদের এ কার্যক্রম চলবে ১৬ জুলাই পর্যন্ত।
রোববার সকাল ৯টায় ফুলবাড়ী উপজেলার অভ্যন্তরে অবস্থিত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত ভারতের সবচেয়ে বড় ছিটমহল দাসিয়ার ছড়াসহ কুড়িগ্রাম জেলার অভ্যন্তরে ১২টি ছিটমহলে দুই দেশের ১০টি সমীক্ষা টিম কাজ শুরু করছেন। প্রতিটি টিমে ভারতের ১১ জন ও বাংলাদেশের ৯ জন কাজ করছেন।
১৯৭৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী এ সমীক্ষা কাজের মধ্য দিয়ে নির্ধারণ হবে কে কোন দেশের নাগরিক হতে চান। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ পাবে ছিটবাসীরা।
এছাড়া নাগরিকত্ব নির্ধারণ ও হেড কাউন্টিং হালনাগাদ নির্বিঘ্নে করার পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতা এড়াতে গত ২২ জুন থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছিটমহলের জমি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ রাখাসহ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তসমূহ বিজ্ঞপ্তি আকারে ছিটমহবাসীদের অবগত করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশের এবং ৫১টি ছিটমহল ভারতের অন্তর্ভূক্ত হবে।