ভারতের সঙ্গে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দাসত্বে পরিণত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে তিস্তার পানি চুক্তি নয়, অন্য কোন গোপন চুক্তি হচ্ছে।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধকালীন ১১ নং সেক্টর কমান্ডার ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মরহুম উইং কমান্ডার (অব:) হামীদুল্লাহ খান বীরপ্রতীক এর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে নোমান বলেন, ভারতের সাথে তিস্তার পানি চুক্তি কখনও পূরণ হবে না। এটি পানি সম্পদমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন। পানি চুক্তির নামে গোপন কোন চুক্তি করা হচ্ছে যা দেশকে ভারতের দাসত্বে পরিণত করবে।
তিনি বলেন, ভারতের স্বার্থে যে চুক্তি করা হয়েছে তার সবই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভারত নদী বন্দর, স্থলবন্দর ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের সুবিধার্থে কোনো চুক্তিই এখনও পূরণ হয়নি।
ভারতের সাথে আঞ্চলিক কানেকটিভিটির প্রয়োজন নেই। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে খুশি করারও কিছু নেই। এর আগেও আওয়ামী লীগ কর্তৃক ২৫ বছরের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশকে দাসত্বে পরিণত করা হয়েছিল। আবারও ষড়যন্ত্র করে একই রকমের চুক্তি করার পায়তারা করছে সরকার বলে দাবি করেন নোমান। এমনকি দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়েও সরকার খেলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নোমান বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার ৭১’এ বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার সুফল দিতে পারেনি। আজও এর সুফল পায়নি দেশের জনগণ।
দেশের গণতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আজ শুধু নির্বাসিত নয় একেবারেই হারিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু তারা গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়ন করতে চাই। তারা এটা বুঝার চেষ্টা করে না গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নোমান আরও বলেন, আজকে শুধু বিএনপি বা আওয়ামী লীগের সমস্যা হলে তেমন কিছু হতো না। এটি জাতীয় সমস্যা। এজন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে ভোটের মাধ্যমে এই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন , বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন প্রমুখ।