চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ভারতের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ৪ জন বিচারক নজিরবিহীনভাবে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন: প্রধান বিচারপতি যেভাবে আদালত চালাচ্ছেন তাতে ভারতের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।

ওই ৪ বিচারক বলছেন, ভারতের প্রধান বিচারপতি এখন তার ব্যক্তিগত মর্জিমাফিক বিভিন্ন বেঞ্চে মামলা পাঠাচ্ছেন। এটি আদালতের নিয়মকানুনের লঙ্ঘন। আদালতের নিয়ম-কানুন যদি মানা না হয় তাহলে ভারতে গণতন্ত্র টিকবে না।

শুক্রবার বিচার বিভাগকে ঘিরে তৈরি এই অভূতপূর্ব সংকট তৈরি হলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা সাধারণত গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন না। অতীতে কখনোই বিচারকরা সরাসরি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি যাতে করে আদালতে বিচার কাজ পরিচালনায় তাদের নিরপেক্ষতা কোনভাবেই ক্ষুন্ন না হয়। এখন চারজন বিচারক যেভাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তা নজিরবিহীন ঘটনা।

সুপ্রিম কোর্টের এই চার ক্ষুব্ধ বিচারক একটি চিঠিও বিলি করেছেন যেটি তারা এর আগে প্রধান বিচারপতিকে দিয়েছিলেন। চিঠিতে তারা বেশ কিছু বিচারিক নির্দেশের ব্যাপারে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, এর ফলে ভারতে বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে।

‘যেসব মামলার ফল ভারতের রাষ্ট্র এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সুদুরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হয়, প্রধান বিচারপতি সেই সব মামলা বেছে বেছে তার পছন্দসই কিছু বেঞ্চে পাঠান। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর কাছে এসব বিষয়ে বারবার তাদের উদ্বেগ তুলে ধরলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। তাই জাতির সামনে হাজির হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্প ছিল না’, বলেন এই চার বিচারপতি।

তবে কোন কোন মামলা এভাবে প্রধান বিচারপতি তার পছন্দসই বেঞ্চে পাঠিয়েছেন সেটি তারা উল্লেখ করেননি।

ভারতীয় গণমাধ্যমে ব্যাপক জল্পনা রয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির দুর্নীতির বিষয় এর একটি। গত বছরের অাগষ্টে এই ঘটনা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের ভেতর চলতে থাকা এই টানাপোড়েন প্রকাশ্যে নিয়ে আসে।