ভারতের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অস্ত্র এনে বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করতো এমন একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা মাত্র ৩০ হাজার টাকায় কেনা অস্ত্র এদেশে বিক্রি করতো বেশ চড়া দামে।
পুলিশ বলছে, এই চক্রের একজন মো.হাফিজুর রহমান। তাকে সাহায্য করতো মো. হাবিবুর রহমান, মো. জিল্লুর এবং তাদের ভারতের সহযোগী মো. জাহাঙ্গীর।
সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (উত্তর) বিভাগের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত মো. হাফিজুর রহমানকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার কোরিয়া কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তার কাছ থেকে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি’র গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মো. হাফিজুর রহমান তার সহযোগী মো. হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ও মো. জিল্লুরের মাধ্যমে ভারত থেকে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে চোরাই পথে অবৈধ অস্ত্র-গুলি বাংলাদেশে আমদানি করতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিসি মশিউর বলেন, ‘অস্ত্র-গুলি প্রথমে বিহার থেকে কলকাতার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় কোনো গোপন স্থানে রাখা হতো। পরে তা বাংলাদেশি অস্ত্র ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মত সরবরাহ করতো।’
‘‘চাহিদা ও পছন্দ মতো অস্ত্রের দর কষাকষি চূড়ান্ত হলে তারা ভারতে কলকতার উত্তর চব্বিশ পরগনা আংরাইল নামের সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাংলাদেশের বেনাপোলে পুটখালী গ্রামের নদীর তীরে গোসল করার কৌশলে বাংলাদেশের সীমান্তে নিয়ে আসে। তারপর সুযোগ বুঝে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ওই অস্ত্র সীমান্তের গোপন স্থান থেকে বের করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় তারা।’’
তিনি আরো বলেন, ‘তাদের এই অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গি গোষ্ঠী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।
এ গোয়েন্দা কর্মকর্তার দাবি, হাবিবুর ভারতের উত্তরা চব্বিশ পরগনার বনগ্রাম গ্রামের জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে আনা প্রত্যেকটি অস্ত্রের জন্য ৩০ হাজার করে টাকা নিয়ে থাকে।