বি.১.১৬৭ নামে করোনার ভারতীয় নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের মোট ৫৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এমনটা দাবি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানান্, বিশ্বজুড়ে শুধু ৫৩ দেশ ছাড়াও আরও নতুন ৭টি জায়গায় এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে। মোট ৬০টি স্থানে ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে এই সংস্থাটি।
হু-এর শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন সম্প্রতি জানান, বি.১.১৬৭ স্ট্রেন শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে নয়,পুরো বিশ্বে এটা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই আশঙ্কা থেকেই ১২ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে জানানো হয়, ৪৪টি দেশে এই ধরন ছড়িয়ে গেছে। ঠিক ১৪ দিনের ব্যবধানে ৯টি স্থানে ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
সংস্থাটির কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণার কারিগরী প্রধান মারিয়া ফন কারখোভ বলেন, সংস্থার মহামারি গবেষণা দল ও গবেষণাগারে কর্মরত বিশেষজ্ঞরা এই বিশেষ ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে, এটি অধিক মাত্রায় সংক্রামক। এছাড়াও ব্রিটেনেও নতুন করে আক্রান্তদের দেহে এই স্ট্রেনের উপস্থিতির কথা জানা গেছে।
দেশটিতে গত একদিনে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৮৮৬ জন। এই সময় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৭২ জন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট প্রায় ২ কোটি ৭১ লাখ লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১১ হাজার ৪২১ জন।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ বাড়ছে। এ সংক্রমণের জেরে বাড়ছে মৃত্যুও। এ পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণকে মহামারি ঘোষণা করতে রাজ্য সরকারগুলোকে চিঠি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এই অবস্থায় ভারতে সংক্রমণের ‘বিস্ফোরণের’ জন্য করোনার ভারতীয় ধরনকে অনেকাংশে দায়ী করা হচ্ছে। করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘উদ্বেগজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।