চাঁদপুর প্রতিনিধি: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বহনকারী ইউনুস আলীর করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেও, সঙ্গে থাকা ফুফু হাজেরা বেগমের পজেটিভ এসেছে।
শুক্রবার বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য ইউনুস ও সাথে থাকা পরিবারের সদস্যদের নমুনা আবারো সংগ্রহ করা হয়। যার মধ্যে ইউনুসসহ বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও তার ফুফুর রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। বর্তমানে তারা সবাই ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন।
এর আগে যশোর হাসপাতাল থেকে পালানোর ছয় দিন পর তাকে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেনের নেতৃত্বে গত বুধবার রাতে চাঁদপুরের বিপনীবাগ এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
সেসময় তার সাথে থাকা মা, ফুফু ও ফুফাতো বোনকেও পুলিশ পাহারায় ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। সে ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের চররামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, গত ১৩ মে যশোর হাসপাতাল থেকে ভারত ফেরত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ফরিদগঞ্জের ইউনুছ আলী পালিয়ে যায়। পরে থেকে তাকে অনেক খোঁজা খুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ বুধবার রাতে তাকে ও তার সাথে থাকা স্বজনদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. কামরুল ইসলাম আরও জানান, গতকাল রাত থেকেই তারা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছে এবং আজ সকালে তাদের নমুনা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে তার ফুফু হাজেরা খাতুনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ইউনুছ ও তার পরিবারের সদস্যরা যাতে আবারও পালাতে না পারে সেজন্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্ল্যাহ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমরা ইউনুছের নমুনাটি ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। সেটি ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট বহনকারী কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।