সদ্যপ্রয়াত কবি রফিক আজাদের এক অজানা দিক উন্মোচন করলেন কবি অসীম সাহা। নিজের ফেসবুকে তিনি এই সক্রান্ত একটি পোষ্ট দেন। কবি রাফিক আজাদের কালজয়ী একটি কবিতার নাম ‘ভাত দে হারামজাদা’ সেটা নিয়েই এবার লিখলেন আরেক কবি অসীম সাহা।
ফেসবুক পোষ্টে তিনি লিখেন, দেখছি, কবি রফিক আজাদের মুত্যুর পর তার ভক্ত, অনুরাগী, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীর অধিকাংশই তার তোলপাড় করা কবিতা ‘ভাত দে হারামজাদা’ নিয়ে তার সাহস ও ভূমিকার প্রশংসা করে ক্রমাগত পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন! তাদের কি জানা আছে, এই কবিতাটির জন্যেই তাকে জীবনে কতোটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছিলো?
বঙ্গবন্ধুর কথা টেনে অসীম সাহা লিখেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে লিখিত এই কবিতাটি বঙ্গবন্ধু এবং তৎকালীন সরকারকে কতোটা বিব্রত করেছিলো, তা অনেকেরই জানা নেই। তখন রফিক ভাইকে বলতে গেলে একটি ভয়াবহ আতঙ্কের মধ্যেই জীবন কাটাতে হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো মহৎপ্রাণ মানুষের জন্য পুলিশের হুলিয়া সত্ত্বেও তিনি শেষপর্যন্ত রক্ষা পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুই তাকে শেল্টার দিয়েছিলেন।
কবিতাটি সম্পর্কে রফিক আজাদের মানসিকতা টেনে অসীম সাহা লিখেন, এই কবিতাটি নিয়ে রফিক ভাই নিজেও খুব বিব্রত ছিলেন। তাই তার শ্রেষ্ঠ কবিতা এবং অন্যান্য সংকলনে তিনি এ-কবিতাটিকে স্থান দেননি! বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিলো। এ-কবিতাটি সম্পর্কে তার নিজেরও একটি ব্যাখ্যা ছিলো। এ-সব তথ্য না জেনে যারা এই কবিতাটিকে তখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন, তারা দেখছি, এখনও বেশ তৎপর। আর না জেনে, না বুঝেই এদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষ হিসেবে দাবিদার কিছু অর্বাচীন! এ-ব্যাপারে সতর্ক না হলে কবি রফিক আজাদের একটি ভুল মূল্যায়ন হবে, যা প্রয়াত রফিক আজাদের প্রতি হবে এক অন্যায় অবমাননা!!