সকালে ব্যাটিং করার সময় বাঁ-হাতের বুড়ো আঙুলে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। এক্স-রের পর জানা যায় আঙুলে চিড় নেই। একদিন পরই মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট, মেডিকেল রিপোর্ট শঙ্কামুক্ত করলেও মুশফিক খেলতে পারবেন কিনা; সেটি নিয়ে কৌতূহলের শেষ ছিল না।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পরে মুমিনুল হক জানালেন, ‘আমার মনে হয় মুশফিক ভাই ভালো আছেন। যতটুকু জানি ভেঙে(হাড়) গেলেও সে খেলবে, আমার এমনটা মনে হয়।’
এমন নয় যে মুমিনুল মজা করে কথাটা বলেছেন। ক্রিকেটের জন্য মুশফিকের নিবেদন সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানেন। অতীতে চোট নিয়েও তাকে মাঠে নামতে দেখা গেছে। পাঁজরের চোট নিয়ে খেলেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও।
তারও আগে ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে টিম সাউদির বল হেলমেটে আঘাত করলে হাসপাতালে যেতে হয় মুশফিককে। ওই টেস্টে দুই দিন মাঠের বাইরে থাকার পর দলের প্রয়োজনে ফের দায়িত্ববোধের চরম নিদর্শন হিসেবে মাঠে নামেন মুশফিক।
চট্টগ্রাম টেস্ট তিন দিনে শেষ করে ঢাকায় পৌঁছে বসে থাকেনি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। মুশফিক-সাকিবরা যে যার মতো করে চালিয়ে গেছেন ঐচ্ছিক অনুশীলন। বুধবার সকালে আনুষ্ঠানিক অনুশীলন শুরু হতেই নেটে মুশফিকের আঙুলে বল লাগার খবরে আতঙ্ক ছড়ায় বিসিবিপাড়ায়।
পরে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী নিশ্চিত করেন মুশফিকের চোট গুরুতর নয়, ‘ও একটু আঙুলে ব্যথা পেয়েছে। আমরা একটু আগে এক্স-রে করেছি। রিপোর্টে কোনো চিড় পাইনি। আমার মনে হয় এটা গুরুতর কিছু না। তবে যেহেতু একটা ব্যথা পেয়েছে, আজ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকবে।’
বেশ কিছুদিন ধরেই দারুণ ফর্মে আছেন মুশফিক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে সবশেষ টেস্টেই খেলেন ২১৯ রানের ইনিংস। টেস্টে যা বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের মঞ্চে মুশফিকের ব্যাটে ভালোকরেই তাকিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা।