বিএনপি’র ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তার দল ‘ওয়ানডে ডেমোক্রেসি’তে বিশ্বাস করে না, ক্ষমতায় গেলে দেশে সুশাসনের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ভবিষ্যতে ইতিবাচক রাজনীতি করবে বিএনপি।
‘অযোগ্য’ ‘দুর্নীতিগ্রস্থ সরকারের আমলে এটিএম বুথ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও জনগণের অর্থের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন,’ বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে শক্তিশালী করা হবে। নিয়োগে দলীয়-রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হবে না’।
বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদ-স্বৈরাচারী ব্যবস্থা কায়েম করেছে অভিযোগ করলেও আবারও সরকারের প্রতি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
বিএনপি’র ‘আন্দোলন’ ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিএনপি সভানেত্রী বলেন,’ মঈন-ফখরুদ্দীনকে আমরা বাধ্য করেছিলাম নির্বাচন দিতে। সেই নির্বাচনের সুফল পাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এখন তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। স্বৈরাচারী সরকারকে হটাতে বিএনপি আন্দোলন করছে। দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই আন্দোলন হচ্ছে। আন্দোলনে প্রমাণিত হয়েছে দেশের কোথাও আর আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই’।
আন্দোলন নস্যাৎ করতে ক্ষমতাসীন দলই নাশকতা ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া। এজন্য বিএনপি ও শরীকদের দায়ী করে হামলা-মামলা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তৎপরতা দেখা গেলেও সরকার ব্যর্থতা ঢাকতে জঙ্গি নেই বলছে বলে অভিযোগ খালেদার। তিনি বলেন,’ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। বিএনপি সন্ত্রাসবাদকে হুমকি মনে করে। বিদেশী বন্ধুরা বলছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গিরা তৎপর অথচ সরকার তা অস্বীকার করছে’।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে নয় বরং গণতন্ত্র-জবাবদিহিতার জন্যই এই সংলাপ চায় বিএনপি। কাউন্সিলে বর্তমান সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হিসেবে ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া।
এই রূপকল্প অনুযায়ী অর্থনীতি,শিক্ষা, কৃষি, ধর্ম, খেলাধূলা ইত্যাদি খাত নিয়ে দলটির ভবিষ্যৎ কর্মপন্থার সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে এই রূপকল্প বা ভিশন ধরেই নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে বলে জানান বিএনপি নেত্রী।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন,’ অতীতে বিএনপিকে শেষ করা যায়নি, আগামীতেও যাবে না’।