যুব বিশ্বকাপে নেপালের পর চমক দেখিয়েছে নামিবিয়া। স্কটল্যান্ডকে ৯ উইকেটের হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে তারা। শেখ কামাল স্টেডিয়ামে দুই গ্রুপ সঙ্গী স্কটল্যান্ড এবং নামিবিয়ার ম্যাচ যখন চলেছে তখন পাশের মাঠেই অনুশীলনে ঘাম ঝড়িয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এই দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গেই শেষ দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে যাওয়াই এখন জুনিয়র টাইগারদের লক্ষ্য।
সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে প্রথম ম্যাচটা সহজে জিতে যাওয়ায় গ্রুপ মিশনটা অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে বাংলাদেশ যুব দলের। পথটা সহজ হলেও তা গায়ে মাখতে চাচ্ছে না জুনিয়র টাইগাররা। বরং সমুদ্রতীর ঘেষা স্টেডিয়ামে সকাল বেলাই সিরিয়াস অনুশীলনে বাংলাদেশের যুবারা।
কক্সবাজারের নতুন স্টেডিয়ামে জুনিয়র টাইগাররা যখন অনুশীলনে ব্যস্ত তখন পাশের গ্রাউন্ডে গ্রুপ লড়াইয়ে মুখোমুখি নামিবিয়া আর স্কটল্যান্ড। পরের দুই ম্যাচে তারাই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। সবচেয়ে কঠিন লড়াই সহজে জেতায় নামিবিয়া-স্কটল্যান্ডকে মোটেও হালকাভাবে দেখছে না মিরাজ-পিনাকরা।
পিনাক ঘোষ বলেন, ফাইনাল খেলা না পর্যন্ত রিলাক্স হওয়া যাবে না। আমরা অনুর্ধ্ব ১৯ লেবেলেতো, তাই হঠাৎ হোঁচট খেয়ে গেলে সমস্যা হবে। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমাদের কাছে ভাইটাল। সো ফাইনাল খেলার আগ পর্যন্ত নো রিলাক্স।
কক্সবাজারের উইকেটে স্কটিশরা সুবিধা করতে পারেনি নামিবিয়ার সঙ্গে। তাদের ১৫৯ রান মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে পেরিয়ে গেছে নামিবিয়া। তাই সমুদ্রতীরে উইকেটের আচরণ বরং সুবিধাই দেবে বাংলাদেশকে।
পিনাক ঘোষ বলেন, এই খেলা শুরু হওয়ার আগে প্রায় এক মাসের মতো ক্যাম্প করছি। ওই ক্যাম্পটা আমাদের খুব সাহায্য করবে এখন। আমরা উইকেট সম্মন্ধে জানি, ওয়েদার সম্মন্ধে জানি। এক মাস যেহেতু প্র্যাকটিস করে গেছি ওই ক্যাম্পটা আমাদের অনেক উপরে নিয়ে যাবে।
আগের ম্যাচে ভালো ব্যাট চালিয়েও নিজেদের ইনিংসকে বড় করতে না পারার আক্ষেপ আছে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের। রোববার স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ব্যাক্তিগতভাবে বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখলেও দলের প্রয়োজনে দুটো ম্যাচেই ‘বড় জয়’ চান জুনিয়র টাইগাররা।