পুনরায় ব্রেক্সিটে ফিরে না আসতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র সিদ্ধান্ত আইরিশদের সাথে সীমান্ত সংকট নিরসনে বাধা হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আইনী পরামর্শকরা।
এ সিদ্ধান্ত আইনী জটিলতাও সৃষ্টি করতে পারে। সেই সাথে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা আরো দীর্ঘ করতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী আইরিশদের সাথে সীমান্ত শিথিল করার কথা বলেছেন। সেই সাথে নতুন কোন চুক্তি ছাড়া ইউরোপিয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হয়ে আসার আইনগত বাধার কথাও বলা হয়েছে সেখানে।
এদিকে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের জন্য বিধ্বংসী হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সংসদে সে আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সাংসদদের দাবির মুখে রাষ্ট্রের প্রধান আইনি কৌশলী বা আটর্নি জেনারেল জিওফ্লেক্স কক্সের ব্যাখ্যা ও পরামর্শ প্রকাশ করতে বাধ্য হয় সরকার। এর সপ্তাহখানেক আগে এ বিষয়ে কেবলমাত্র এক পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দুই প্রতিবেদনের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না ।
দীর্ঘবছর ইইউর সঙ্গে থাকার পর গত বছরের ২৯ মার্চ ব্রাসেলসে জোটের বিধি অনুযায়ী টেরেসা মের সরকার এই জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার পত্র পেশ করে। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই পুনরায় ব্রেক্সিটে যোগ দেয়ার ব্যাপারে জোর দাবি ওঠে।
তবে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের (ইসিজে) অ্যাডভোকেট জেনারেল ম্যানুয়েল ক্যামপোস স্যানচেজ-বোরডোনা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের মত পাল্টানোর সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন।