বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে গেলেও কোটামুক্ত সুবিধা থেকে বাংলাদেশ বঞ্চিত হবে না। তবে, বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবেলায় রপ্তানি নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার।
আগামী অর্থ বছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৭টি সংস্থা কী পরিমাণ কাজ করবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে রোববার সম্পন্ন হয় একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠান। সংস্থাগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি সই শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সকলকে আগামীর কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে মনে করলেও বাংলাদেশের চিন্তার কিছু নেই বলেও দাবি তার।
বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যেসব সুবিধা পেয়েছি বা পাচ্ছি সেই সুবিধা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করি। কারণ যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও আমাদের ভালো সম্পর্ক। এর কোনো পরিবর্তন হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, ভারত তৈরি পোশাক খাত রপ্তানিতে শীর্ষস্থান দখল করতে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। বাংলাদেশকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখন থেকেই প্রস্তুত হতে পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন তিনি। বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই জায়গাটা ভারত নিতে চায়। রপ্তানির ব্যাপারে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে। আমরা কিভাবে রপ্তানিকারকদের সুবিধা দিতে পারি সেই ব্যাপারে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিতে হবে। তৈরি পোশাকখাতের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ আছে তা উত্তোরণের জন্য তাদের সাহায্য করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে চিনির দাম বাড়ানো নিয়ে কিছু কারচুপি হয়েছে। লবণ নিয়ে যাতে এ ধরণের সমস্যার সৃষ্টি না হয় তাই দেড় লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।